
শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় রেশন কার্ডের অনিয়মের দায়ে বহিষ্কৃত ডিলার জাহেদুল ইসলামের ডিলারশীপ পুর্নবহালের পাঁয়তারা চলছে। জানা যায়,৬নং ভাটি কাপাসিয়া ওয়ার্ডের ৩ জন সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী ডিলার জাহেদুলের অনিয়মের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। ১৫ নং কাপাসিয়া ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলার জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ১৪ মে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হয় । উপজেলা তদন্ত কমিটি পর পডর তিন বার ১৫ দিনের তদন্ত চলাকালে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জাহেদুল উল্লেখিত অভিযোগকারীদের ম্যানেজ করে ফেলেন । যার কারণে পরবর্তীতে অভিযোগকারীরা অভিযোগ উড্রো করতে চাইলে প্রশাসন তা প্রত্যাখান করেন । তদন্ত কমিটি তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা প্রশাসন বরাবর দাখিল করেন । একপর্যায় অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি গাইবান্ধা জেলা ডিসি (ফুড) তদন্ত শুরু করেন। সেই তদন্তেও ডিলারের বিরুদ্ধে সত্যতা প্রমাণিত হলে, চলতি মাসের ৩ জুলাই জাহেদুলের ডিলারশীপ বাতিল করেন প্রশাসন । এক পর্যায়ে উপায়ন্তর না পেয়ে ৮ জুলাই ডিলার জাহেদুল তার দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশকারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দুর্নীতিবাজ জাহেদুল তার ডিলারশীপ পুর্নবহালের জন্য উর্ধ্বতন মহলের নিকট দৌড়ঝাপ করছেন। এমতাবস্থায় এসব দুর্নীতি ও অনিয়ম করার পরও জাহেদুলকে ডিলারশীপ ফেরত দেয়া হলে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দেবে। পাশাপাশি প্রশাসনের প্রতি জনসাধারণের মনে অনাস্থা ও ঘৃণা জন্মাবে। এখনও যেহেতু ৯৬ জন কার্ডধারীর চাল প্রশাসনের হেফাজতে রয়েছে, তাদের কোন স্পষ্ট নাম ও ঠিকানা নেই। এ কারণে স্থানীয় সুধীজন ও ভুক্তভোগী পরিবারগুলো জাহেদুলের ডিলারশীপ বাতিল বহাল রেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। ডিলার জাহেদুল ইসলাম ওই গ্রামের আব্দুল কাদের মিয়ার ছেলে।