
মোঃ আলী হোসেন খাঁন :: সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বিপিএম এর দিক নির্দ্দেশনায়, সহকারী পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন, ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফা কামালের তত্বাবধানে এসআই হাবিবুর রহমান পিপিএম এর নেতৃত্বে সংগীয় এএসআই মহিউদ্দিন, কং-২১৯ সৌরভ বিশ্বাস, কং-৩৬২ সাকির হোসাইন ও আব্দুর রশিদ কাইয়ুম, ছাতক থানার বাতিরকান্দি সাকিনের চাঞ্চল্যকর শিশু মোস্তাফিজুর রহমান ইমন (০৭) হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামী ছালেহ আহমদ(২৫) পিতা- মৃত কবির মিয়া সাং-বাতিরকান্দি থানা-ছাতক, জেলা- সুনামগঞ্জকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার সহ ছদ্মবেশে গাজীপুর বাসন থানাধীন চান্দনা বৌবাজার এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লেখ্য, আসামী ছালেহ আহমদসহ তার সহযোগী আরো তিনজন মিলে ২০১৫ইং সালে ২৭শে মার্চ বিকাল বেলা শিশু মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে অপহরণ করে দুইলক্ষ টাকা মুক্তিপন আদায় করার পরও শিশু ইমনকে হত্যা করে বাতিরকান্দি হাওরে লাশ গুম করে রাখে। উক্ত ঘটনার ২২ দিন পর শিশু ইমন এর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় মামলা হওয়ার পর হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত তার সহযোগী তিনজন গ্রেফতার হলেও আসামী ছালেহ আহমদ ২০১৫ সাল হতে গাজীপুর বাসন থানাধীন চান্দনা বৌবাজার এলাকায় আত্মগোপন করেছিল। উক্ত আসামী পলাতক থাকা অবস্থায় দ্রুত বিচার আদালত সিলেট দ্রুত বিচার (দায়রা) -০৪/২০১৬, জিআর-৬৫/২০১৫ (ছাতক) ধারা- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধীত-২০০৩) এর ৮/৩০ তৎসহ পেনাল কোড ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় উক্ত আসামীসহ তার সহযোগী তিনজনকে ও বিজ্ঞ আদালত গত ০৬/০২/২০১৯ ইং তারিখ মৃত্যুদন্ড (ফাসীঁর আদেশ) প্রদান করেন। প্রকাশ থাকে যে, আসামী ছালেহ আহমদ এর নামে আরেকটি দ্রুত বিচার ০৯-১৪, জিআর-১৮৯ (ছাতক) ধারা- আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) এর ৪(১) মামলায় ও ০৩ (তিন) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। উক্ত মামলায়ও সে পলাতক ছিল।