মোঃ পারভেজ আলম, জেলা প্রতিনিধি, ঢাকা>> সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নামে সরকারের করা ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনের মামলা প্রত্যাহারের এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “শুধু জামিন নয়, সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং সাংবাদিক সুরক্ষা আইন তৈরি জরুরি হয়ে পড়েছে।” রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গত ১৭ মে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের এক কর্মকর্তার কক্ষে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাতে তাকে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করে ব্রিটিশ আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডিবিধির কয়েকটি ধারায় মামলা করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। রোজিনা ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর তার সহকর্মীরা বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ‘অনিয়ম-দুর্নীতি’ নিয়ে প্রতিবেদন করায় তাকে ‘হয়রানি’ করা হচ্ছে ব্রিটিশ আমলের এক আইন ব্যবহার করে। ভার্চুয়াল আদালতে শুনানি শেষে রোববার ঢাকার একজন মহানগর হাকিম পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে রোজিনার জামিন মঞ্জুর করেন।
সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের তার বিবৃতিতে বলেন, “সেনা বিদ্রোহ ও রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে একশ বছর আগে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট তৈরি করে ব্রিটিশ সরকার। এই আইন তৈরি হয়েছে সেনা সদস্য ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। “ব্রিটিশ রাজাদের রাজত্ব কায়েম রাখার জন্য এ আইন ব্যবহৃত হয়েছে, যা এখন অপ্রয়োজনীয়। তাই অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা নজিরবিহীন। স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ব্রিটিশদের তৈরি অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট এখন মেয়াদোত্তীর্ণ কালো আইন। উপমহাদেশে এ আইনে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে শাস্তির কোন নজির নেই।” অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট সংবিধান, গণতন্ত্র ও তথ্য অধিকার আইনের ‘পরিপন্থী’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিক রোজিনাকে ‘ফাঁসানো হয়েছে’ মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী বিদেশের সাথে সকল চুক্তি সংসদে উপস্থাপন করেত হবে। তাছাড়া টিকা কেনাকাটা কখনোই রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা হতে পারে না।