ঝিনাইদহ প্রতিনিধি>>
কালীগঞ্জসহ সারা দেশে দূরপাল্লার গণপরিবহণ বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্ধ রয়েছে আন্ত:জেলা যাত্রীবাহী বাস চলাচল। কিন্তু প্রশাসনের আইন অমান্য করে কালীগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ড থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার যোগে যাত্রীদের পাঠানো হচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন পরিবহণ মালিকরা।
বিশেষকরে ব্যাগ ও ছোট শিশু বাচ্চা নিয়ে কেউ গেলেই জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে কোথায় যাবেন। ঢাকা গেলে উঠে পড়ুন মাইক্রোবাসে। সকাল থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত মাইক্রোবাস সেখানে রাখা হচ্ছে। ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুনেরও বেশি। সাধারণ মানুষ কোন উপায় না পেয়ে তারা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই যাচ্ছে তাদের গন্তব্যস্থলে। মাইক্রোবাসের মধ্যে গাদা-গাদি করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে, যেখানে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি মাস্ক ও থাকছে না মুখে। এভাবে রয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। এসব মাইক্রোবাস ও প্রাইভেট কালীগঞ্জ বাসস্ট্যাণ্ডের পরিবহন কাউন্টারের সামনে থেকে প্রশাসনের আইন অমান্য করে এভাবে যাত্রী নিয়ে ভাড়া মারছে। কাউন্টার মালিকরা প্রতি গাড়ি থেকে নিচ্ছে সন্তোষজনক কমিশন। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকার দূরপাল্লার বাস বন্ধ রেখেছে সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার জন্য। কালীগঞ্জের কতিপয় অসাধু কাউন্টার মালিক আর মাইক্রোবাসের মালিক ও চালকরা আইন অমান্য করে যাত্রী পাঠাচ্ছেন। ভাড়া ও হাকানো হচ্ছে অনেক বেশি। একসাথে যাওয়ার কারণে তাদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ও প্রশাসনের বিষয়টি সুদৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।