মিজানুর, শেরপুর সংবাদদাতা : শেরপুরে বিষ প্রয়োগে মুরগি মারা’র প্রতিবাদ করায় দা’ দিয়ে কু’পিয়ে মা ও ছেলেকে আহত করেছে প্রতিপক্ষ।
আহতরা বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মৃ’ত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শ্রীবরদী উপজেলার গড়জরিপা ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া গ্রামে। আ’হতরা হলেন ওই গ্রামের মো. আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম(৩৫) ও তার স্ত্রী মোছা. আকলিমা বেগম(৫৫)। এই ঘটনায় মো. আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এলাকাবাসী ও বাদীর দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘোনাপাড়া গ্রামে আব্দুল কুদ্দুছ ও নজরুল ইসলাম নজির আপন সহোদর ভাই ও প্রতিবেশী। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে।
এরই জের ধরে শুক্রবার সকালে ভাতের সাথে বিষ দিয়ে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আমিনুল ইসলামের একটি মুরগি মেরে ফেলে। ইতিপূর্বেও তার কয়েকটি মুরগি একই কায়দায় মে’রে ফেলে। ফলে শুক্রবার দুপুরে আমিনুল ইসলাম তার মৃত মুরগীটি নিয়ে নজরুল ইসলাম নজি ও তার পরিবারকে দেখাতে গেলে নজির পরিবার চড়াও হয় আমিনুলের উপর।
সেইসাথে আমিনুলকে অকথ্য ভাষায় গা’লাগালি করে। অবস্থা বেগতিক দেখে আমিনুল ইসলাম তার বাড়ীতে চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে নজরুল ইসলাম নজি ও তার পরিবারের লোকজন দা’ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আমিনুলের বাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করে অতির্কিতভাবে হা’মলা চালায় আব্দুল কুদ্দুছের পরিবারের ওপর। এতে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগম দায়ের কো’পে ও লাঠির আ’ঘাতে মারাত্মকভাবে আ’হত হয়। এসময় প্রতিবেশীরা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আমিনুল ইসলাম মৃ’ত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে জানা গেছে।
পরে শুক্রবার রাতেই আব্দুল কুদ্দুছ
বাদী হয়ে নজরুল ইসলাম নজি গংদের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এ বিষয়ে অভিযোগের বাদী আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ‘নজরুল ইসলাম নজি আমার সহোদর ভাই হলেও দীর্ঘদিন থেকে আমার ও আমার পরিবারের নানাবিধ ক্ষতি সাধন করে আসছে। আজ আমার ছেলে ও স্ত্রীকে হ’ত্যার উদ্দেশে দা’ দিয়ে কু’পিয়ে মারাত্মকভাবে আ’হত করেছে। আমার ছেলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাই আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
এদিকে অভিযোগের বিবাদী নজরুল ইসলাম নজির সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাহার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ‘এসআই আনিছুর রহমানকে সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
এলকাবাসী বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নজরুল ইসলাম নজি গংদের এহেন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের প্রা’ণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।