রংপুর ব্যুরো :
আকর্ষণীয় বেতনে ফের ১ হাজার বেকার যুবককে চাকুরি দিল স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস। মোট ১২টি পদে নিয়োগ পাওয়া এসব যুবকের একেক জনের বেতন প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই চাকরির জন্য লাগেনি ব্যাংক ড্রাফট, করতে হয়নি লিখিত আবেদন। ছিল না পরীক্ষার ঝামেলাও। কয়েক মিনিটের ভাইভায় সোনার হরিণ হাতে পেল বেকার যুবকরা। স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসের এই চাকরির মেলা বসেছিল রংপুরের গঙ্গাচড়ায়।
শনিবার (০৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাল্টিপারপাস হলরুমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে আয়োজিত জব ফেয়ারে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে এসেছেন চাকরি প্রত্যাশীরা। ম্যানেজার, এ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, জোনাল ম্যানেজার, ইন্সপেকশন অফিসার, মনিটরিং অফিসার, সর্টিং হিরো, ডাটা এন্ট্রি, ড্রাইভার, হেল্পার, রাইডার এবং ওয়্যারহাউস ম্যানেজমেন্ট এই ১২টি পদে তিন হাজার সিভি জমা হয় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত। কিছুক্ষণ পরে শুরু হয় সাক্ষাৎকার পর্ব।
দুপুরের পর ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চাকরি পাওয়ার আনন্দে প্রার্থীদের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র হাতে নিয়ে মাসের পর মাস ঘুরেও যেখানে চাকরি পাওয়া যায় না, সেখানে একদিনে এত জনের চাকরি পাওয়া স্বপ্নের মতো বলে প্রতিষ্ঠানটির প্রশংসা করেছেন অনেকেই।
চাকরি মেলা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন এমন উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, ‘দেশকে উন্নত করতে হলে চাকরির পাশাপাশি উদ্যোক্তা হতে হবে যুবকদের। গঙ্গাচড়া উপজেলার সন্তান তরুণ উদ্যোক্তা কে এম রিদওয়ানুল বারী জিয়ন আজ তার প্রতিষ্ঠানে এক হাজার যুবকদের চাকরি দিয়ে যে চাকুরির ব্যবস্থা করলেন, তা মনে রাখবে তাদের পরিবারগুলো।’
প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জানান, ‘স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার বেকার যুবকের চাকরির ব্যবস্থা হয়েছে। যোগ্যতা অনুযায়ী পদোন্নতি হবে কর্মীদের। এছাড়াও স্টেডফাস্ট একাডেমির মাধ্যমে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয়ে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের বেকার সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটি যাত্রা শুরু করে। খুব অল্প সময়ে সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ৪৬০টি শাখার মাধ্যমে বিশ্বস্ততার সঙ্গে কুরিয়ার সেবা দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালের মধ্যে আমরা আন্তর্জাতিক মানের কুরিয়ারে উন্নীত করার লক্ষ্যে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’