মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুর-গাইবান্ধার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৩০ জুন নগরীর পরশুরাম থানার একটি বাড়ির চারজনকে অজ্ঞান করে বাড়ির মালামাল লুটের ঘটনায় শনিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, গত ৩০ জুন রংপুরের পরশুরাম থানার কোবারু ডাক্তার পাড়া গ্রামে জনৈক মোঃ মিজানুর রহমান এর বাড়ীতে অজ্ঞাতনামা অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা রাতের বেলায় বাড়িতে প্রবেশ করে বাড়ীর ০৪ (চার) জন লোককে কৌশলে অজ্ঞান করে। পরবর্তীতে উক্ত বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন চুরি করে নিয়ে যায়। গত ২ জুলাই এ ব্যাপারে পরশুরাম থানায় মামলা হলে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতাররা হলেন- হাফিজার রহমান (৪৪), মশিয়ার রহমান ভুট্টু (৪৫), লিপি বেগম (২৬), খোরশেদ আলম (১৯), রুবেল মিয়া (৩২) ও রাজু মিয়া (৩০)।
তিনি আরও জানান, গত ১০ জুলাই গাইবান্ধা জেলার বেড়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল বাকীর ছেলে অজ্ঞানপার্টির মূলহোতা হাফিজার রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের নাম প্রকাশ করে।
পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নগরীর কচুটারী হতে মশিয়ার রহমান ভুট্টু, তার স্ত্রী লিপি বেগম ও খোরশেদ আলমকে, নিউ জুম্মাপাড়া থেকে রুবেল মিয়া এবং গঙ্গাচড়ার জয়দেব মনাষপাড়া হতে রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে চোরাই এগারটি মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, চোরাইকাজে ব্যবহৃত লোহার শাবল ও চেতনানাশক ওষুধ উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে চেতনা নাশক ওষুধ ব্যবহার করে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে অপরাধ করে আসছে। এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।