আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম :
ক্রাইম পেট্রোলের ঘটনাকে হার মানিয়ে ময়মনসিংহের ট্রলি ব্যাগের রহস্য উদঘাটন করেছে ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ। গত ২০ অক্টোবর পাটগুদাম ব্রীজ সংলগ্ন স্থানে ট্রলি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে জনগণ। ব্যাগে বোমা সন্দেহে ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ অধিনস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে হাজির হন। রাতেই আসে ঢাকা থেকে বোমা বিশেষজ্ঞ। পরদিন সকালে ব্যাগ খুলে পায় লাশ। অপরদিকে, খবর আসে কুড়িগ্রমে পা, হাত ও মাথা পাওয়া গেছে। তৎপর হয়ে উঠে ময়মনসিংহে পুলিশ। প্রযুক্তি আর বিচক্ষণতার সাথে হিসেব মিলাতে থাকে তারা। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলাও তারা করেন। মামলা নং-১০২ তাং-২৫/১০/২০১৯ ইং। সৎ আর বুদ্ধিমত্তার জেলা পুলিশ সুপার শাহ মোঃ আবিদ হোসেন পিপিএম (বার) এর তদন্ত করার দায়িত্ব দেন জেলা গোয়েন্দা সংস্থার ওপর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক শাহ মোঃ কামাল আকন্দ পিপিএম (বার) তদন্ত কাজ শুরু করেন। এস আই আকরাম হোসেন ও এ এস আই তপু গত ২৮ অক্টোবর জেলার জয়দেবপুর থেকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে অভিযান চালিয়ে ৪ জন আটক করে। তারা হলেন ফারুক মিয়া (২৫),হৃদয় মিয়া (২০), সাবিনা আক্তার (১৮) ও মৌসুমী আক্তার (২২)। তাদের কাছ থেকে ডিবি পুলিশ তাদের হাতে খুন হওয়া ভিকটিমের নাম জানতে পারে।

আটকরা ঘটনার দ্বায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। পুলিশ তাদের কথামত হত্যায় ব্যবহার করা ছুরি, ব্যাগ, ইট ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে।ঘটনা সূত্রে জানা যায়, খুন হওয়া বকুলের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলা হুগলা গ্রামে। তার বাবার নাম ময়েজ উদ্দীন। একই এলাকার প্রতিবেশী গ্রেফতার হওয়া সাবিনাকে খুন হওয়া বকুল ভালোবাসার জন্য উত্ত্যক্ত করতো।
এ ঘটনার জেরেই দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় খুন করা হয় বকুলকে। মোবাইল ফোনে ফুসলিয়ে বকুলকে গাজীপুরে জয়দেব পুরের খুনিদের ভাড়া বাসায় বকুলকে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই খুনিরা তাদের ভাড়া বাসায় বকুলকে খুন করে। বকুলকে খুন করার পর লাশের দু’হাত, দু’পা ও মাথা নিয়ে যায় সাবিনা ও তার ভাবী মৌসুমী। তারা এগুলো কুড়িগ্রাম জেলার দু’টি স্থানে ফেলে আসে। অপরদিকে ,বাকি দেহ হৃদয় ও ফারুক ময়মনসিংহের পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে টরি ব্যাগে ভরে ফেলে যায়।