মো. সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলাপ্রতিনিধি, রংপুর : গ্রীষ্মকালে সেতুটি পার হতে মই দরকার হয়। আর বর্ষকালে প্রায় তলিয়ে যায় পানির নিচে। অবহেলিত এই সেতুটির অবস্থান রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুরে গ্রামে। মির্জাপুর ইউনিয়নের বৈরাতীহাট সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় সেতুটি চোখে পড়ে। সেখান থেকে প্রায় ১ কিলােমিটার পশ্চিমে এইচ.আর (হাজেরা-রাজ্জাক) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ১শ’ গজ উত্তরে সেতুটি নির্মিত। এই সেতুটির দুই পার্শ্বে রাস্তা চেনার উপায় নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের অর্থায়নে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের হযরতপুর এলাকায় ২৯ লাখ ১৭ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, এলাকাবাসীর সীমাহীন ভোগান্তি চিত্র, দুর্ভোগে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৪শতাধিক পরিবার।
সেতুটি পার হওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দা লোকমান মিয়া বলেন, জানি না এ সেতু কেন বানাইছে। উপকার দূরের কথা, ভোগান্তির শেষ নেই। দুই পাশে মাটি ভরাট করা হলে মানুষ চলাচল করতে পারত।
আরেক বাসিন্দা আফসার আলী বলেন, সেতুর দু’পাশে রাস্তা করা প্রয়ােজন। রাস্তা না হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীদের চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয়।
মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মিয়া বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে ওই স্থানে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। তবে সেতুর দুই পাশে রাস্তায় মাটি কেটে রাস্তাটি দৃশ্যমান করে না তােলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কিছুটা দুর্ভোগ হচ্ছে। ইউনিয়ন পরিষদে রাস্তা নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ পেলে সেতুর দু’পাশে রাস্তা নির্মাণের কাজ করা হবে।
মিঠাপুকুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মােশফিকুর রহমান বলেন, সেতুর দু’পাশে অবশ্যই রাস্তায় মাটি ভরাট করে দেওয়া হবে। মাটি না পাওয়ার কারণে ভরাট করা সম্ভব হয়নি। দ্রুত রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করা হবে।