crimepatrol24
১৫ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১১:০৮ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

মহেশপুরে বাড়ি-বাড়ি দাঁড়িয়ে আছে ধানের গোলা

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
মার্চ ৬, ২০২১ ৯:৫১ অপরাহ্ণ

 

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ

‘গোলা ভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু আর পুকুর ভরা মাছ গ্রামবাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য নিয়ে প্রচলিত প্রবাদটি আজও মানুষের মুখে মুখে ঘোরে। কিন্তু গ্রামের পর গ্রাম ঘুরেও দেখা পাওয়া যায় না গোলার। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ভবনগর গ্রাম। গ্রামের পাড়ায়-পাড়ায়, বাড়িতে-বাড়িতে দাঁড়িয়ে আছে ধানের গোলা।

গ্রামের কৃষকেরা বলছেন, তারা এখনো অনেকে গোলায় ধান রাখেন। আবার অনেকের গোলা পরিত্যক্ত। তবে তারা স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছেন। গ্রামে এখনো অর্ধশত বাড়িতে গোলা রয়েছে।

শ্যামকুড় ইউনিয়নের ভবনগর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ধানের গোলা। একই স্থানে পাশাপাশি একাধিক গোলাও আছে। গ্রামের পশ্চিম প্রান্তে চারটি গোলা রয়েছে। যার মালিক গ্রামেরই আমির হোসেন তরফদার। এর একটু পাশে ঝন্টু ম-লের বাড়িতে আরেকটি গোলা। একটু দূরে আমজাদ তরফদারের বাড়িতে রয়েছে আরও দুটি গোলা। আরেক পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানেও একাধিক বাড়িতে ধানের গোলা।

ঝন্টু ম-ল জানান, এগুলো বাঁশ দিয়ে তৈরি। ওপরের ছাউনিতে অনেকে খড় ব্যবহার করেন, আবার অনেকে টিন ব্যবহার করেন। একটি গোলা তৈরি করতে কৃষকের খরচ হয় ২৫ থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত। যেগুলোতে ১৫০ থেকে ২৫০ মণ ধান রাখা যায়। গোলায় ধান রাখলে দীর্ঘদিন ভালো থাকে। গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। কৃষকেরা আশপাশের চারটি মাঠে ফসল ফলান।

গ্রামের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, মাঠগুলোতে দুই হাজার বিঘা চাষযোগ্য জমি রয়েছে। আগে ১ হাজার ২০০ বিঘায় ধানের চাষ হতো, বাকিটা জমিতে ফলত অন্যান্য ফসল। বর্তমানে ধান চাষ কমে ৪০০ বিঘায় দাঁড়িয়েছে। যে কারণে গোলার ব্যবহার কমে গেছে। তিনি নিজেও ধান গোলায় রাখতেন, এখন আর রাখেন না।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুন-অর রশিদ জানান, বস্তার চেয়ে গোলায় ধান রাখলে ধান ভালো থাকে। কৃষকেরা এখনো গোলায় ধান রাখতে আগ্রহী। কিন্তু উৎপাদন খরচ মিটিয়ে ধান সংরক্ষণ করা তাদের জন্য কষ্টকর। তারপরও স্মৃতি হিসেবে তারা অনেকে বাড়ির আঙিনায় গোলা সংরক্ষণ করছেন।

শ্যামকুড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আমানুল্লাহ জানান, ‘গোলায় ধান রাখা কৃষকের জন্য খুবই ভালো। কিন্তু এগুলো আমাদের সমাজ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। কৃষক ধান উৎপাদন করে লাভবান হলে আবার মাঠে ধানের চাষ বৃদ্ধি পাবে, পাড়ায় পাড়ায় গোলা ভরা ধান পাওয়া যাবে।’

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

হোমনায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা

দ্বিতীয়বারের মতো ডিএমপির শ্রেষ্ঠ এসি নির্বাচিত হলেন ইলিয়াছ হোসেন

এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ৬ দিন যাবত রাজপথে অবস্থান শিক্ষকদের

এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে ৬ দিন যাবত রাজপথে অবস্থান শিক্ষকদের

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

না খেয়ে মরার চেয়ে করোনায় মৃত্যু অনেক ভালো : রংপুরে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

পঞ্চগড়ে জ্বর ও গলা ব্যথা নিয়ে কিশোরের মৃত্যু

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে পুলিশের এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর

সরকারের কাছে মানুষের জীবনের কোন দাম নেইঃ রিজভী

গোসাইরহাটে ইউনিয়ন বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধন

‘ইভিএম চালু হলে রাতে ভোট হবে না’ সিইসির বক্তব্যেই থলের বিড়াল বের হয়ে এসেছে: চরমোনাই পীর