নীলফামারী প্রতিনিধি॥ “এসো গড়ি নারীবান্ধব হাসপাতাল” এই প্রতিপাদ্যকে সঙ্গে নিয়ে নীলফামারী সদর আধুনিক নারীবান্ধব হাসপাতালে দুই দিনব্যাপী স্বাস্থ্যমেলার আয়োজন করেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। মেলায় স্বাস্থ্য বিষয়ক ১০ টি স্টোল স্থান পেয়েছে। এর মধ্যে দুইটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও বাকী ৮টি সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।বুধবার (১৮ ডিসেম্বর)দুপুরের দিকে সদর হাসপাতাল চত্বরে সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, নীলফামারী সদরের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। পরে তিনিসহ অতিথিগণ বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন।
মেলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার নারী পক্ষ কার্যক্রমটি হাতে নিলে ২০১১ সালে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত হয় নারীবান্ধব নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল। নারীবান্ধব হাসপাতালে থাকবে নারীর সম্মান, মর্যদা ও ন্যায্যতার সাথে স্বাস্থ্য সেবা পাবে। এ ছাড়াও নারীর মৌলিক সুবিধাদি, যেখানে থাকবে আলাদা বাথরমু, গর্ভবতী মায়ের সেবা, ব্রেষ্ট ফিডিং কর্ণার, ফেস্টুলা রোগের চিকিৎসা ও জরায়ুর ক্যান্সার চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা। নারী পক্ষ ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় দুই দিনব্যাপী স্বাস্থ্য মেলায় নারীরা বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করছে।
সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আবু শফি মাহমুদ জানান,‘ দুই দিনের এই মেলায় স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মোট ১০টি স্টলের মাধ্যমে নারীরা বিনামূল্যে স্তন ক্যান্সার, জরায়ু ক্যান্সার, জরায়ু নেমে আসা বিষয়ে পরীক্ষা করতে পারবেন। এছাড়াও গর্ভবতী স্বাস্থ্য সেবা,পরিবার-পরিকল্পনা সেবা বিষয়ে পরামর্শ গ্রহণ এবং রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করতে পারবেন।
মেলায় উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, নারীদের সংকোচ ও লজ্জা রোগ প্রতিরোধে একটি বড় সমস্যা। তিনি বলেন, তারাতো আমার বোন, আমার মা কাজেই লজ্জা ভয় না করে সবকিছুই খুলে বলা দরকার। আগের দিনে নারী গর্ভাবস্থায় মারা যাবে তবুও পুরুষ ডাক্তারের কাছে যাবে না। কারণ সচেতনতার অভাবে নারীরা পিছনে যাচ্ছে। কিন্তু জাতি এতে দুর্বল জাতিতে পরিণত হচ্ছে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা সুস্থ- সবল একটি জাতি পাবো। এ জন্য সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষার প্রয়োজন আছে।উদ্বোধনী মেলায় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার নাহিদ হাসান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মজিবুল হাসান চৌধুরী, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফরোজা বেগম, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সদর আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আবু সফি মাহমুদ, ডিপুডি প্রোগ্রাম ম্যানেজার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাখালি রাজিউল হক, নারী পক্ষের প্রচার সম্পাদক ও প্রাক্তন সভাপতি রেহানা ছামদানি প্রমুখ।