crimepatrol24
১৬ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় সকাল ১০:৫৯ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

দখল নয়, দলিলই হবে জমির মালিকানা: সংসদে বিল উত্থাপন

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৩ ৯:৪৮ অপরাহ্ণ

 

ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
দখলে থাকলেই মালিক নয়, থাকতে হবে দলিলসহ জমির প্রয়োজনীয় দস্তাবেজ। অন্যের জমি নিজের দখলে রাখা, ভুয়া বা মিথ্যা দলিল তৈরী এবং নিজ মালিকানার বাইরে অন্য কোনও জমির অংশ বিশেষ উল্লেখ করে দলিল হস্তান্তরে সর্বোচ্চ সাত বছরের কা’রাদণ্ড ও অ’র্থদণ্ডের বিধান রেখে এই নতুন আইনটি করা হচ্ছে।

এমন বিধান করতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে বিল তোলা হয়েছে। এদিন সংসদের বৈঠকে ‘ভূমি অ’পরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল–২০২৩’ উত্থাপন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলটিতে বলা হয়েছে, ভূমি হস্তান্তর, জরিপ ও রেকর্ড হালনাগাদে অন্যের জমি নিজের নামে প্রচার, তথ্য গোপন করে কোনও ভূমির সম্পূর্ণ বা অংশ বিশেষ কারেও কাছে হস্তান্তর, ব্যক্তির পরিচয় গোপন করে জমি হস্তান্তর ও মিথ্যা বিবরণ সংবলিত কোনও দলিলে সই করলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কা’রাদণ্ড ও অ’র্থদণ্ড।

বিলে আরও বলা হয়, কোনও দলিল সম্পাদিত হওয়ার পর আইনানুগ কর্তৃত্ব ছাড়া প্র’তারণামূলকভাবে দলিলের কোনও অংশ কাটা বা পরিবর্তন করলে তার সাজাও হবে সর্বোচ্চ সাত বছরের কা’রাদণ্ড ও অ’র্থদণ্ড। সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে কোনও মিথ্যা দলিল প্রস্তুত করার সাজাও একই। এছাড়া প্র’তারণামূলকভাবে কোনো ব্যক্তিকে কোনো দলিলে সই বা পরিবর্তনে বাধ্য করার ক্ষেত্রেও একই সাজা ভোগ করতে হবে।

বিলে বলা হয়েছে, সর্বশেষ খতিয়ান মালিক বা তার উত্তরাধিকার সূত্রে বা হস্তান্তর বা দখলের উদ্দেশ্যে আইনানুগভাবে সম্পাদিত দলিল বা আদালতের আদেশের মাধ্যমে কোনো মালিকানা বা দখলের অধিকারপ্রাপ্ত না হলে কোনো ব্যক্তি ওই ভূমি দখলে রাখতে পারবেন না। অবৈধ দখলের সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কা’রাদণ্ড ও অ’র্থদণ্ড।

আইনের খসড়া বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তির নামে স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টিন্যান্সি অ্যাক্টের অধীনে প্রণীত বা হালনাগাদকৃত বলবৎ সর্বশেষ খতিয়ান না থাকলে এবং খতিয়ান ও হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হলে তিনি ওই জমি বিক্রি, দান বা হেবা বা অন্য কোনোভাবে হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি সম্পাদন বা দলিল নিবন্ধন করতে পারবেন না।

বিলে আরও বলা হয়, কোনও ব্যক্তি জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া আবাদযোগ্য জমির উপরি স্তর কাটলে তার সাজা হবে সর্বোচ্চ দুই বছরের কা’রাদণ্ড ও অ’র্থদণ্ড। বিলে উল্লেখ আছে, যদি কোনও ব্যক্তি এই আইনে বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচনা দিলে মূল অপরাধীর সমান দ’ণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমির স্বত্ব সংরক্ষণ ও শান্তিপূর্ণ ভোগদখল বজায় রাখার লক্ষ্যে ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ এবং দ্রুত প্রতিকার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এই আইন করা হচ্ছে। নাগরিকদের নিজ নিজ মালিকানাধীন ভূমিতে নিরবচ্ছিন্ন ভোগদখল অধিকারগুলো নিশ্চিতকরণ, ভূমি বিষয়ক প্র’তারণা ও জা’লিয়াতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, সরকারি ও সর্বসাধারণের প্রতিরোধ ও দমনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, ভূমি সংক্রান্ত কিছু অপরাধের দ্রুত প্রতিকারের ব্যবস্থা লক্ষ্যে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভূমি হতে বে-আইনি দ’খল, স্থাপনা ব প্রতিবন্ধকতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ভরাটকৃত মাটি, বালু, ইত্যাদি অপসারণ করতে এবং ওই ভূমিকে এর আগের শ্রেণি বা প্রকৃতিতে পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা সন্নিবেশ করা হয়েছে। ভূমি সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তিতে দীর্ঘসূত্রতা দূরীকরণ এবং যথাসময়ে জনগণের বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং মাঠ পর্যায়ের মতামত গ্রহণসহ অংশীজনের মতামত গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে প্রস্তাবিত ‘ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা’ আইনের সংশোধন:
ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না, এমন বিধান রেখে ‘বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা’ আইনের সংশোধন হচ্ছে। এজন্য সোমবার জাতীয় সংসদে একটি বিল আনা হয়েছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ‘বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) বিল–২০২৩’ জাতীয় সংসদে তোলেন। বিদ্যমান আইনে কৃষি জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা সম্পর্কিত কোনও বিধি নিষেধ ছিল না।

বিলে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি থেকে বালু বা মাটি তোলা যাবে না, যদি তা উর্বর কৃষি জমি হয় বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে হয়, বা কৃষি জমির উর্বর উপরিভাগের মাটি হলে বা পরিবেশ প্রতিবেশ বা জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি সাধিত হয়, বা ড্রেজারের মাধ্যমে বা যদি অন্য কোনো কৌশলী প্রক্রিয়ায় বালু বা মাটি উত্তোলন করা হয়, যাতে এই জমিসহ পার্শ্বশ্বর্তী অন্য জমির ক্ষতি, চ্যুতি বা ধসের উদ্ভব হয়।

৬০ বিঘার বেশি কৃষি জমির মালাকানা নয়
১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার আইন করা হচ্ছে। সোমবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এ সংক্রান্ত বিলটি সংসদে তোলেন। বিলে বলা হয়েছে, ৬০ প্রমিত বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনও উপায়ে নতুন কোনও কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে আটটি ক্ষেত্রে এটি শিথীল থাকবে। পরে বিলটি পরীক্ষা করে দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত
সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

সুন্দরগঞ্জে ৭ জুয়ারী গ্রেফতার

‘মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করলে তাদের ভালোবাসা পাওয়া যায়’: আইজিপি

ডোমারে পুকুর খননকালে কৃষ্ণমূর্তি উদ্ধার

ডিমলায় এক ছাত্র করোনায় আক্রান্ত,১৪টি পরিবার লকডাউন

বিএনপি কি দেশে ‘মার্শাল ডেমোক্রেসি’ আনতে চায়: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

বিএনপি কি দেশে ‘মার্শাল ডেমোক্রেসি’ আনতে চায়: প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

সরিষাবাড়ীতে শহিদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

কত দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে এটা ঠিক করবে দেশের জনগণ: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-৪ টা প্রস্তুতি ম্যাচের সম্ভাবনা

শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-৪ টা প্রস্তুতি ম্যাচের সম্ভাবনা

গৌরীপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের গৌরব ও ঐতিহ্যের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন

মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ডা. মুরাদ হাসান এমপি

২০ ঘন্টার ব্যবধানে ঝিনাইদহে মেডিকেল ছাত্রসহ নিহত তিন