আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার চাঁন্দখানায় পারিবারিক দ্বন্দের কারণে মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।ঘটনাটি ঘটেছে ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁন্দখানা বিএসসি মাস্টার পাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উক্ত গ্রামের দক্ষিণ চাঁন্দখানা বিএসসি মাস্টার পাড়া বায়তুল নূর জামে মসজিদ নামক টিন শেডের ভাঙাচোরা মসজিদটি ভেঙ্গে দোতলা করার জন্য এলাকাবাসী সিদ্ধান্ত নেয়। এতে মসজিদের নামকরণ নিয়ে উক্ত গ্রামের দুই পরিবারের মাঝে বির্তকের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ডোমার থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান ও ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু। বিষয়টি নিরসনে উভয় পক্ষকে নিয়ে গত ২৩/১১/২০২০ইং তারিখে অফিসার ইনচার্জ ডোমার থানায় বসে লিখিত মীমাংসা করেন এবং নাম সংশোধন করে সকলের সম্মতিক্রমে গত ২৮/১১/২০২০ইং তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদের দ্বি-তল ভবনের ভিক্তি প্রস্তর স্থাপন করেন অফিসার ইনচার্জ।এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু, ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান ভেনাস, মসজিদের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, সাঃ সম্পাদক সোহেলসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন। কাজ চলাকালীন আবারো কমিটির সভাপতি মিলে বেশ কিছু কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের কারণে মসজিদের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক ইউপি সদস্য নুরী মেম্বার জানান, আল্লাহর ঘর মসজিদটি নির্মাণের জন্য আমি গত কয়েকদিন থেকে অনেক চেষ্টা করছি। এলাকার একজন ব্যক্তি দুলাল হোসেন, ঢাকায় চাকুরী করে। সেখান থেকে মসজিদের জন্য অনেক কষ্ট করে বরাদ্দ নিয়ে এসেছে। তিনি পুরো মসজিদটি এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে নির্মাণ করতে চান। তার প্রতি হিংসা মনোভাব নিয়ে মসজিদের সভাপতি আব্দুস সাত্তার, জাহাঙ্গীর মাস্টার মিলে নির্মাণ কাজে বাধা সৃষ্টি করছে।
উক্ত মসজিদের ইমাম মাওঃ মোকলেছার রহমান জানান, আমাকে বেতন ভাতা ঠিকমতো না দেয়ায় আমি চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি। তবে সভাপতির চক্রান্তে মসজিদ ঘরের নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায় এলাকার মুসুল্লিদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মসজিদ নির্মাণে বাধা দেওয়া বড় পাপের কাজ।
মসজিদের সভাপতি আব্দুল সাত্তার বলেন, আমরা দোতলা বা ছাদ করতে চাইনি, দুলালের বুদ্ধি ধরে কাজে নেমেছি। আমাদের হাতে ৮হাজার ইট ও ১লাখ টাকা ছিল তা খরচ হয়েছে। দুলালের কাছে নাকি ৩ লাখ টাকা আছে, আমাদের হাতে দেয় না। দুলাল নিজে কাজ করতে চায়। তাই আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি। ২ মাস পর চাঁদা না উঠলে নিজেদের টাকা দিয়ে কাজ শুরু করবো।