
আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার, (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
দেশের উত্তরের জনপদ নীলফামারী জেলা ডোমার উপজেলাসহ এর আশপাশের উপজেলাগুলোতে এবার আগাম শীত পড়তে শুরু করেছে। দিনের বেলায় সূর্য কিছুটা উত্তাপ ছড়ালেও সন্ধার পর পরই শীত বাড়ছে। আগাম শীতের আগমনে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ তোষকের ধুনাইকারদের। এদিকে সাধারণ মানুষ শীতের প্রস্তুতির জন্য অনেকে লেপ, তোষকের দোকানসহ পুড়াতন কাপড়ের দোকানে ভিড় জমাচ্ছে।
ডোমার বাজার বাটার মোড়ের খাজা আজমেরী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আহম্মেদ হোসেন আনছারী জানান, শীত আগাম ঘনিয়ে আসায় তাদের বেঁচা-কেনা বেশ জমে উঠেছে। প্রতিদিন ১০/১৫ টির মতো লেপ তোষকের অর্ডার আসছে। কার্তিক মাস থেকে কিছুটা কাজ শুরু হয় তবে, পৌষ ও মাঘ মাসে প্রচুর কাজের চাপ থাকে।
আরেক দোকানি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বর্তমানে ৫/৭ জন কারিগর কাজ করছে। বাকি সময়গুলো শুধু তোষক ও জাজিমের কাজ হয় হালকাভাবে। সামনে বেঁচা -কেনা আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। উল্লেখ্য দেশের দক্ষিণের জেলাগুলোতে পৌষ- মাঘে শীত নামলেও হিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় নীলফামারী জেলাসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের উপস্থিতি অনেকটা আগেভাগেই জানান দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আশপাশের জেলাগুলোতে দিনের বেলা তাপমাত্রা ২২থেকে ২৫ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে উঠানামা করলেও রাতে তা কমে আসে। সকালে কুয়াশার কারণে গাড়ীগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। অপরদিকে, শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। কষ্টে আছে হতদরিদ্র শিশু ও বৃদ্ধরা। গরীব শ্রেণির মানুষের কোন উপায় না থাকায় ডোমার রেল লাইনে পুরাতন কাপড়ের দোকানে মোটা কাপড় কিনে শীত নিবারণ করছে অনেকে। সবচেয়ে বেশি শীত পড়েছে জেলার ডিমলার চর এলাকায় এবং পার্শ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলায়। নীলফামারীসহ ডোমার চিলাহাটির আশপাশের এলাকায় হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থান হওয়ায় শীতের আগাম পদধ্বনি চোখে পড়ার মতো।