
ফাঁসির রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উক্ত আদালতের সরকারি কৌশলী অ্যাড. রমেন্দ্র বর্ধন বাপী।
মামলার বাদী সুমীর বাবা খতিবর রহমানের এজাহার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর প্রেমের সর্ম্পকে ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেন নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করে একই ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলী গ্রামের তার মেয়ে সুমী আক্তারকে। এর পরদিন উভয় পরিবার ঘটনাটি মীমাংসা করে পারিবারিক সিদ্ধান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে পুনরায় বিয়ের আয়োজন করেছিল। ওই সময় সুমীর বাবা জামাতা আলমগীরকে নগদ এক লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন। বিয়ের দুই বছর পর জামাতা আলমগীর ইজিবাইকের ব্যাটারী ক্রয় করার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুক হিসেবে দাবি করলে ওই টাকা প্রদানে সুমী ও সুমীর বাবা অপারগো প্রকাশ করেন।সেই টাকা না দেওয়ার কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাতে ঘরের ভেতর স্ত্রী সুমী আক্তারকে রশি দিয়ে বেঁধে বেধরক মারপিট ও আগুনের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। এতে ঘটনাস্থলে মুত্যুবরণ করেন সুমী। এরপর গলায় রশি দিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রেখে প্রথমে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও লাশের প্রাথমিক সুরতহালে শরীরে আঘাত ও আগুনের গরম ছ্যাঁকার পোড়া ক্ষত পাওয়ায় ঘটনার পর দিন সুমীর বাবা বাদী হয়ে ডিমলা থানায় জামাতা আলমগীরসহ উল্লেখিত ৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পূর্ণাঙ্গ ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার বিষয়টি উঠে আসলে পুলিশ ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর সাক্ষ্য প্রমান শেষে আদালত এই রায় দেন।তবে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন আসামী পক্ষের আইনজীবী আল-বরকত হোসেন।