ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার রুহিয়া থানার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের কশালগাঁও গ্রামের বিশু মোহাম্মদের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে হ্যাপী আক্তার (১৬) তিন দিন ধরে প্রেমিক সাইমুম সাইদুর(২০) এর বাড়িতে অনশন করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায় একই এলাকার প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেনের ছেলে সাইমুম সাইদুরের সাথে হ্যাপী দীর্ঘ ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু প্রেমিক সাইমন সাইদুর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে পাশের জঙ্গলে গিয়ে ধ’র্ষণের চেষ্টা করে এমন সময় প্রেমিকার মা দেখে ফেললে প্রেমিক বাইসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। এভাবে ব্লাকমেইল করে প্রেমিকাকে বিয়ের প্র’লোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়। বিয়ের কথা বললে প্রেমিক বিয়ে করতে টালবাহানা করে। উপায় না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে হ্যাপী প্রেমিক সাইমুম সাইদুর রহমানের বাড়িতে চলে যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা বলেন, হ্যাপী ও সাইমমুম সাইদুর প্রেমের সম্পর্কের জেরে হ্যাপী আক্তার সাইমুম সাইদুরের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে।
তারা আরও বলেন, বিষয়টা স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ এবং স্থানীয় ব্যক্তিগণ ইউপি চেয়ারম্যানকে অবগত করছেন। কিন্তু অভিযুক্ত সাইমুম সাইদুর ও তার পিতা স্কুল শিক্ষক আবুল হোসেন পলাতক রয়েছে এবং কোন সিদ্ধান্তে উপনীত না হওয়ার কারণে হ্যাপী প্রেমিক সাইমুম সাইদুরের বাড়িতে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রেমিকা হ্যাপীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাইমুম সাইদুরের সাথে আমার দীর্ঘ ২ বছর ধরে সম্পর্ক চলে এবং সে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সাথে একাধিক বার শা’রীরিক সম্পর্কও করছে এবং আ’পত্তিকর কিছু ছবি রেখে প্রায়ই আমাকে ব্লাকমেইল করে আসছে। আমি সাইমুম সাইদুরকেই বিয়ে করব। তাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। তাকে না পেলে আমি বাঁচব না।’
তিন দিন ধরে পলাতক অভিযুক্ত প্রেমিক সাইমন সাইদুরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায় নি।
অভিযুক্ত প্রেমিক সাইমুম সাইদুরের পিতা আবুল হোসেনের সাথে তার কর্মরত রামনাথ হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয় সংবাদ কর্মীদের কোন মন্তব্য না করে এড়িয়ে যান।।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বিশ্ব নাথ বলেন, হ্যাপীর বিয়ের দাবীতে অনশনের বিষয় শুনে আমি ঘটনা স্থলে গিয়েছিলাম এবং চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করছি কিন্তু অভিযুক্ত প্রেমিক এবং তার পিতা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন বলেন, বিয়ের দাবীতে প্রেমিকার অনশনের বিষয় টা শুনেছি কিন্তু এখন পর্যন্ত পর্যন্ত অভিযুক্ত প্রেমিক ও তার পিতা আবুল হোসেন আমার কাছে কোন যোগাযোগ করেনি।