
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ জেলা জুড়েই ঈদকে সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বেকারির খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে গ্রামের অলিগলি মহল্লায় হরদম বিক্রি হচ্ছে। খোলামেলা বেকারীতে তৈরী বিস্কুট চানাচুর, পাউরুটি, কেক, সন্দেশসহ নানা বাহারী মুখরোচক খাবার। এ বিষয়ে মনিটরিং নেই কর্তৃপক্ষের, অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলাসহ জেলা শহরের চাকলাপাড়া, আরাপপুর, হামদহ সহ শহরেরর অলি গলিতে গড়ে ওঠা বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে বেকারী খাদ্যদ্রব্য তৈরি করে সারা শহর জুড়েই ডিষ্ট্রিবিউশন করা হচ্ছে। আবার সদরের হলিধানী’র ঢাকা বেকারী, সাগান্না আমেরচারা এলাকার মুনফুড বেকারী, ডাকবাংলা হারুন বেকারিতে, নোংরা পরিবেশে ভেজাল ও নিম্ন উপকরন দিয়ে অবাধে তৈরী করা হচ্ছে বেকারী সামগ্রী। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরী খাবার রাখা আছে সেখানেই রাখা ক্ষতিকারক রাসায়নকি পদার্থ, কেমিক্যাল এবং একাধিক ড্রামে পাম ওয়েল। আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরী পণ্য। শ্রমিকদের খোলা শরীর আর খালি পায়ে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাটি করছে। আটা- ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা। ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রীম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভন ভন করছে। উৎপাদন ও মেয়াদউর্ত্তীর্ন তারিখ দামি বাহারি মোড়কে বনরুটি, পাউরুটি, কেক, বিস্কুট, পুডিংসহ বিভিন্ন ধরনের বেকারী সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। বিএসটিআিই ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মাঝে মধ্যেই এসব কারখানায় অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হয়। ঈদকে সামনে রেখে এখন তারা আরো বেপোরোয়া গতিতে চালাচ্ছে তাদের পণ্য উৎপাদন। তাছাড়া এসব বেকারী মালিকরা বিকল্প বেকারী মোড়কে ২ নম্বর খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবারহ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম জানান, যদি কোন বেকারি মালিক খাদ্যনীতিমালা অমান্য করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।