
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
গ্রীন জোন ঘোষণার দুইদিন পরই ঝিনাইদহে একজন চিকিৎসকসহ ৯ জন করেনায়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৮ ও ৯ জুন ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬০ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৩৮ জন। সোমবার সকাল ও দুপুরে ২৮টি নমুনার ভিতরে ২৩টি নেগেটিভ এসেছে বলে স্বাস্থ্যবিভাগের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ঝিনাইদহের বাসিন্দা মাগুরা আড়াই শয্যা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোকাররম হোসেনসহ কালীগঞ্জে ৩ জন এবং হরিণাকুন্ডুর একজন রয়েছেন। ৯জুন কালীগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত তিনজন হলেন,কালীগঞ্জ পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার হরেন্দ্রনাথ সাহা ও তার স্ত্রী শীপ্রা রানী সাহা এবং মালিয়াট ইউনিয়নের বেথুলী গ্রামের নয়ন কুমার ঘোষ, পিতাঃ সুকুমার ঘোষ। মহেশপুরের ১ জন। উল্লেখ্য, হরেনাথ সাহার মালিকানাধীন হাসপাতাল সড়কের মল্লিক ফার্মেসীতেই ডা. আলতাফ হোসেন রোগী দেখতেন। দেশে একমাত্র ঝিনাইদহ জেলায় কোনো লকডাউন নেই। রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জেলাটিকে গ্রীন জোন হিসেবে দেখানো হয়। দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনোই এ জেলার কোনো এলাকাকে লকডাউন করা হয়নি। এর আগে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বিবেচনায় কখনোই এ জেলার কোনো এলাকাকে লকডাউন ঘোষণার প্রয়োজন পড়েনি। ৬ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত ঝিনাইদহ জেলার জনসংখ্যা প্রায় ১৭ লাখ।
এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম বলেন, মঙ্গলবার ‘খুলনা, যশোর এবং কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহে মোট ৩৮টি রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্য থেকে ৪ টি পজিটিভ এসেছে। আক্রান্ত ব্যাক্তিদের বাড়ি কালীগঞ্জ উপজেলায় ৩ জন এবং মহেশপুর উপজেলায় ১ জন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের করোনা সেলের মুখপাত্র ডা. প্রসেঙ্কিত বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু ইতোপূর্বে ঝিনাইদহ লকডাউন ছিল না এবং সুস্থতার হার বেশি, এসব বিবেচনায় একমাত্র জেলা হিসেবে ঝিনাইদহকে গ্রীন জোন হিসেবে ধরা হয়। দেশে করোনার বিস্তার ঠেকাতে এলাকাভিত্তিক লকডাউনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আক্রান্তদের আধিক্য বিবেচনায় নিয়ে রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রীন জোন এই তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে।