
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি >>
একজন নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে সমুদ্র পথে বিদেশে মানুষ পাচারের মিথ্যা অভিযোট রটানোর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সেলিনা আক্তারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার দেবর মোঃ চয়ন মিয়া। এ সময় এলাকাবাসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ফজলুল হক, কলিম উদ্দীন মেম্বার, আব্দুর রাজ্জাক, জামাল হোসেন, বাবু মিয়া, গনজের আলী, মাসুদুর রহমান ও হেলাল উদ্দীন।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, ঝিনাইদহের বিভিন্ন গ্রাম থেকে অনেক মানুষ সমুদ্র পথে বিদেশে যাওয়ার পথে নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরাই খোঁজ খবর নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে নিউজ করে যাচ্ছেন। এই ভয়ংকর কাজের সাথে কারা জড়িত তাদের নাম ঠিকানাও আপনারা পেয়েছেন। অথচ একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে আমার স্বামী আক্তার হোসেন পিকুলকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। লিখিত বক্তব্যে দাবী করা হয় ,আক্তার হোসেন পিকুল চাকরী করার সুবাদে বিদেশে যেতে সহায়তা করেন। তার এজেন্সি মোহাম্মদী ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল গভার্ণমেণ্ট অ্যাপ্রুভড এজেন্ট। যার লাইসেন্স নং ৯১৯। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কেউ সমুদ্র পথে বিদেশে যায়নি। এমনকি ঝিনাইদহের নিখোঁজ কোন যুবককে তিনি বিদেশে পাঠান নি। যদি আমার স্বামীর এজেন্সির মাধ্যমে ঝিনাইদহের কাউকে পাঠিয়েও থাকেন তবে তা বৈধভাবে প্লেনে। তিনি সমুদ্র পথে কেউকে বিদেশে পাঠাননি। তাই তার নামে মামলা-মোকদ্দমা এমনকি নুন্যতম কেউ অভিযোগ দিতে পারেনি। অথচ আমার স্বামীর নাম জড়িয়ে বিভ্রান্তিকর ও অসত্য খবর পরিবেশন করে আমার স্বামীর জীবনকে ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। খবর প্রচারের পর নামে বেনামে আমার স্বামীর মোবাইলে হুমকী দিচ্ছে। “অমুক বিভাগের লোক তমুক বিভাগের লোক” এমন পরিচয় দিয়ে অপরিচিত মানুষ বাড়িতে আনাগোনা করছে। এতে আমি বা আমার সন্তানরা যারপর নাই ভীত। স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে থেকে আমিও নানা ধরণের বিভ্রান্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়েছি। এমনাবস্থায় সমুহ ক্ষতি ও জীবনহানির ভয়ে বাধ্য হয়ে আমি ঝিনাইদহ সদর থানায় গত ১৭ জুন ২০১৯ একটি জিডি করেছি। যার নং ৮৭৮।
সেলিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী সমুদ্র পথে অবৈধ ভাবে মানুষ পাচারের চক্রের সাথে জড়িত নয়। একটি চক্র মিথ্যা অপবাদ রটিয়ে আমার স্বামীকে ক্ষতি করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকরা প্রকৃত সত্য উন্মোচন করে কারা মানুষ পাচারের সাথে জড়িত সেই সত্য প্রতিষ্ঠা করবেন সেই দাবী করছি।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত রাধাকান্তপুর গ্রামের মাতুব্বর ফজলুল হক জানান, আক্তার হোসেন পিকুল আমার ভাতিজাকেও বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল বৈধভাবে। ৭ বছর পর সে আবার সহিসালামতে ফিরে এসেছে। পিকুলের বিরুদ্ধে এলাকায় যারা সমুদ্র পথে মানব পাচার করে বহু পরিবারকে পথে বসিয়েছে মূলত তারাই ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনে সহায়তা করেছে।