
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
সুজন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নাটাবাড়িয়া গ্রামের আমির মন্ডলের ছেলে। তিনি নিজেকে কখনো যুবলীগ নেতা আবার কখনো মানবাধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে থাকেন। এ সব পরিচয় দিয়েই তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি ও মনুষকে বিপদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। সুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এক সময় যারা চরমপন্থিদলের সদস্য ছিলেন, তাদের নেতৃত্বে গড়ে তুলেছেন চাঁদাবাজি সিন্ডেকেট। ফলে মানুষ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে সুজনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর মন্ডল নামে এক ব্যক্তি। এদিকে হলিধানী ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পারভেজ মিয়া জানিয়েছেন, সুজন নামে তাদের কোন নেতাকর্মী নেই। অপকর্ম করতেই যুবলীগের নাম ভাঙিয়ে সুজন এলাকায় ব্যানার ফেস্টুন টাঙিয়েছে। থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সুজন ও নাটাবাড়িয়া গ্রামের ইসরাইল (ইছা খুড়া) ছেলে বদরউদ্দীন (বুদো) গত ১৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটাবাড়ীয়া গ্রামের ছানারদ্দীন মন্ডলের ছেলে জাহাঙ্গীর মন্ডলের কাছে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে হাত পা ভাঙার হুমকি দেয়। একই গ্রামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মুক্তারসহ অনেকের কাছে চাঁদা চেয়ে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে সুজন ও বুদোর বিরুদ্ধে। তবে বিষয়টি সুজন অস্বীকার করে বলেন, আমি চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নই। শুধুমা জাহাঙ্গীরের সাথে মজা করেছিলাম।
এ ব্যাপারে জাহাঙ্গীর জানান, সুজন এবং বুদো ওরা দুজনে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তাই আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।
বিষয়টি নিয়ে হলিধানী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জাহাঙ্গীর এলাকায় নিরীহ মানুষ হিসেবে পরিচিত। আমি চাই সুজন এবং বুদোর এই অপকর্মের বিচার করা হোক।