
জামালপুর প্রতিনিধি: জামালপুরে বাড়ির মালিকের সন্ত্রাসী তান্ডবের শিকার হয়ে এক ক্লিনিক ব্যবসায়ী প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জানা গেছে, জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ের জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের মালিক মো. জাকিরুল ইসলামের কাছ থেকে একটি দোতলা বাড়ি ভাড়া দেয়ার শর্তে ৬ লাখ টাকা ও পরবর্তীতে আরও ৫ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৬৭ টাকার কাজ করে মোট ১১ লাখ ১২ হাজার ৪শ ৬৭ টাকা এককালীন ফেরৎযোগ্য জামানত দিয়ে মাসিক ৩০ হাজার টাকা ভাড়ায় ২৪ মে ২০১৫ইং তারিখ থেকে ১ মে ২০২৩ইং তারিখ পর্যন্ত একটি লিখিত বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পন্ন করে নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড়ের মৃত আবুল হাসেমের স্ত্রী মাহফুজা আখতার। সে মোতাবেক ভাড়াটিয়া মো. জাকিরুল ইসলাম প্রায় ১ কোটি টাকার মেডিকেল সরঞ্জামাদি ক্রয় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আরও প্রায় ৫০লাখ টাকা বিনিয়োগ করে তার জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেড গড়ে তোলে অত্যন্ত সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে ক্লিনিক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। এদিকে ২ বছর অতিক্রান্ত হতে না হতেই মাহফুজা আখতার তার ছেলে মাহবুবুল হাসান মাসুমকে দিয়ে গত ২৬ জুলাই ২০১৭ইং সালে জুলেখা জেনারেল হাসপাতাল লিমিটেডের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে জোরপূর্বক ও বেআইনীভাবে বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে অনেক আকুতি মিনতির পরও মো. জাকিরুল ইসলামের প্রতি কোন ভ্রূক্ষেপ না করলে সে বাধ্য হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত জামালপুর সদরে মাহফুজা আখতার ও তার ছেলে মাহবুবুল হাসান মাসুমকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ১১৭(১)২০১৮। সম্প্রতি আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পেনাল কোড-১৮৬০ এর ৪০৬/১০৯ ধারায় আনীত মো. জাকিরুল ইসলামের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে। এদিকে তারা জামিনে বেরিয়ে মো. জাকিরুল ইসলামের পিতাকে অপহরণ করে পরে মামলা হওয়ার খবরে ছেড়ে দেয়। এদিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আদালতে প্রবেশে বারংবার বাধা দেয়াসহ উপুর্যপরি প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ইং তারিখে জামালপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন মো. জাকিরুল ইসলাম। যার নম্বর ৬৮২, তারিখ ১৪/২/২০২০ইং। তারপরও আসামিরা ভাড়াটে লোকজন দিয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দেয়া অব্যাহত রাখলে মো. জাকিরুল ইসলাম জামালপুরের পুলিশ সুপারের দারস্থ হলে জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের নির্দেশে জামালপুর থানার এএসআই সাইফুলকে বিষয়টি দেখার জন্য দায়িত্ব দেয়া হয়। এদিকে মামলায় সাজা হলেও আসামিরা তাকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভিড়তে দিচ্ছে না। বিরাট অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ক্লিনিক ব্যবসায়ী মো. জাকিরুল ইসলাম।