
মোঃ আলী হোসেন খান: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার প্রবাসী অধ্যুষিত জগন্নাথপুর। দল বেঁধে হাটবাজারে হাঁটছে লোকজন, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। সরেজমিনে দেখা যায়, সবজি বাজার,কাপড়ের দোকান ও মাছ বাজারসহ নিত্য পণ্যের দোকানগুলিতে ক্রেতাদের ঢল, মানছেনা জন সচেতনতা। এছাড়া মধ্য বাজারের বড় গলিতে দল বেঁধে লোকজনকে চলাফেরা করতে দেখা যায়। অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্য বিধি মানছেন না, বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুকি। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনের কড়াকড়ি নজরদারিতেও কিছুতেই জগন্নাথপুর হাট-বাজার গুলোতে কমছে না জনসমাগম। এতে করে করোনা ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়ছে। যে কোন সময় আক্রান্ত হতে পারেন মানুষ। পুলিশ দেখলে শূন্য হয়ে যায় বাজার। যখন তারা চলে যায় আবার শুরু হয়ে যায় জনসমাগম। মানুষ যেন লুকোচুরি খেলা চলছে। দেখে মনে হয় করোনার ভয় নেই উপজেলার এই সব মানুষদের মধ্যে। খোলা রয়েছে মাছ-, মুরগি, মুদি দোকানসহ বিভিন্ন সবজি দোকান। সেগুলোতে অহেতুক জমছে ভিড়। ভাইরাসটি সংক্রমিত হতে পারে জেনেও অসচেতন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। রাস্তাঘাটে দিনের বেলা রিক্সা, টমটম, সিনএজি চলতে থাকে। গাদাগাদি করে এসবে করে মানুষ যাতায়াত করছেন। দূর থেকে পুলিশ দেখলে নেমে আবার তাদের পাশ কেটে গিয়ে উঠছেন। গাদাগাদি করে যাতায়াত করার কারণে করোনা ঝুঁকি থেকে যায়।
জানতে চাইলে. জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, জনসমাগম ঠেকাতে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মানুষকে জনসমাগম করতে দিচ্ছি না। তবে অহেতুক কেউ জনসমাগম ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।