মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে সরকারি ২৬ বস্তা সার আটক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কালো বাজারে অ’বৈধভাবে পা’চারের অভিযোগে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ৩০ হাজার ও এক কৃষককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত উপজেলার রাণীগঞ্জ হাট ও ও ডুগডুগি হাটে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ঘোড়াঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মামুন আল কাওসার শেখ। অন্য উপজেলায় সার পাচারের অভিযোগে এ জ’রিমানা করায়।
আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান ও পুলিশ উপ-পরিদর্শক কাজল রায়সহ পুলিশের একটি টিম।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, অ’সাধু ডিলারা দীর্ঘদিন ধরে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এলাকার কৃষকদের বরাদ্দকৃত সার অন্য উপজেলায় পা’চার করে আসছে।
এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুর ২টায় অভিযান চালানো হয়। একটি নসিমন ভটভটিযোগে সরকারি সার নিয়ে জয়পুরহাট জেলার দিকে যাওয়ার সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৬ বস্তা ড্যাব এমওপি ও টিএসপি সার জব্দ করে । এ সময় সারের মালিক কৃষক পরিচয় দানকারী জয়পুরহাটের আব্দুল আজিজকে ৩ হাজার টাকা এবং ওই সার বিক্রেতা রাণীগঞ্জ বাজারের সারের ডিলার বজলুর রশিদ বাবুকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ কীটনাশক রাখার কারণে উপজেলার ডুগডুগি বাজারের আমিনুল রহমান বোরহানকে ৫ হাজার এবং মূল্য তালিকা না ঝুলানোর কারণে সুজনকে ৫ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়। সেই সাথে উদ্ধার করা সার ডুগডুগি বাজারের একটি সারের ডিলারের মাধ্যমে সরকারি মূল্যে বিক্রি করার অনুমতি দেওয়া হয় এবং সার বিক্রির টাকা ওই কৃষকের কাছে ফেরত দেওয়ার জন্য বলা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুজ্জামান বলেন, ‘উপজেলার সব সারের ডিলার এবং কীটনাশক ব্যবসায়ীকে সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে কঠোর সতর্কীকরণ করা হয়েছে। কেউ যাতে সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেদিকে আমরা নজর রাখছি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আল মামুন কাওসার বলেন, ‘এক উপজেলার সার আরেক উপজেলায় নিয়ে যাওয়ার কারণে ক্রেতা ও ডিলারকে ২৩ হাজার এবং দুইজন কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জ’রিমানা করা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।’