মাহতাব উদ্দিন আল মাহমুদ,ঘোড়াঘাট(দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ২৪ টি ক্যাপিটেশন গ্র্যাণ্টপ্রাপ্ত এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসা ফাণ্ডের টাকা হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে।
সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসার মোহতামিম ও অসাধু কিছু ব্যক্তির সহায়তায় সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বছরের পর বছর সরকারি অনুদানের টাকা আত্মসাৎ করা হলেও দেখার কেউ নেই।
সমাজসেবা অফিসের তথ্য অনুযায়ী ঘোড়াঘাট উপজেলায় ২৪ টি এতিমখানা এবং লিল্লাহ বোর্ডিং মাদ্রাসায় ক্যাপিটেশন ফাণ্ড চালু রয়েছে।
২০১৯-২০২০ অর্থ বছর হতে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক সমাজের এতিম এবং দুস্থ শিশুদের সহায়তায় প্রতিমাসে একজন শিশুর জন্য ২ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এর মধ্যে খাদ্য বাবদ ১ হাজার ৬০০ টাকা,পোশাক বাবদ ২ শত টাকা, চিকিৎসা ও অন্যান্য বাবদ ২ শত টাকা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে।
নিবন্ধনকৃত বেসরকারী এতিমখানার নীতিমালা অনুযায়ী ন্যূনতম ১০ জন এবং ৬-১৮ বছর বয়সী এতিম এবং দুস্থ অবস্থান করে এরকম প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ শতকরা ৫০ জন এতিমের জন্য ক্যাপিটেশন গ্র্যাণ্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারি কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাদ্রাসার মোহতামিম ও অসাধু কিছু ব্যক্তির সহায়তায় সরকারি অনুদান আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
এর মধ্যে অন্যতম বিশাইনাথপুর (ডেওয়াগাড়ী) রাহিলা খাতুন দারুস সুন্না হাফেজিয়া কওমী মাদ্রাসা ও এতিমখানার অবস্থা খুবই নাজুক। উক্ত প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে ১৪৩ জন শিক্ষার্থীর ক্যাপিটেশন গ্র্যাণ্ট পায়।
নিয়ম অনুয়ায়ী মাদ্রাসায় শিক্ষার্থী থাকার কথা ২৮৬ জন কিন্তু সরেজমিনে এবং স্থানীয় অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওই মাদ্রাসাতে নিয়মিত ছাত্র /ছাত্রী ৬০-৭০ জন রয়েছে । মাদ্রাসায় কোনো অফিসার পরিদর্শন করতে গেলে, আশে পাশের গ্রাম থেকে কিছু সময়ের জন্য ছাত্র/ছাত্রী নিয়ে আসা হয়।
এভাবে ছাত্র/ছাত্রীদের নামে বরাদ্দকৃত লক্ষ লক্ষ টাকা মুহতামিম আত্মসাৎ করে আসছেন।
অনিয়মের বিষয়ে মাদ্রাসার মুহতামিম আইনুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, ‘এ বিষয়ে কোনো সাংবাদিকের সাথে কথা বলা যাবে না, ডিডি সাহেবের সাথে কথা বলতে হবে।’
মাদ্রাসাটির অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আ: আউয়ালের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদারকি করা হবে।’