আবু সায়েম মোহাম্মদ সা’-আদাত উল করীম:
করোনা যুদ্ধে শহীদ হলেন জামালপুরের সন্তান আরও একজন পুলিশ সদস্য। উল্লেখ্য, এ নিয়ে জামালপুরের দুইজন সন্তান পুলিশ সদস্যসহ বাংলাদেশ পুলিশের ৫ সদস্য করোনা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গ করলেন। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সম্মুখযোদ্ধা এই পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালনকালে করোনাক্রান্ত (কভিড-১৯) হয়ে জীবন উৎসর্গ করলেন । দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মোৎসর্গকারী এ পুলিশ সদস্য সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) সুলতানুল আরেফিন (৪৪)। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট (পিওএম) পশ্চিম বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সুলতান আরেফিনের করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর তিনি রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। শনিবার (২ মে ২০২০ খ্রি.) ভোরে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি জামালপুর জেলার সদর উপজেলা মেষ্টা ইউনিয়নের ভাদুরীপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.এম শামসুজ্জোহার পুত্র। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা এবং এক পুত্রসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়। উল্লেখ্য,গত ৩০শে এপ্রিল ২০২০ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়ার এলাকার সন্তান আশেক মাহমুদ রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল পদে ঢাকা বিমানবন্দর এলাকায় কর্মরত ছিলেন। জামালপুরের দুইজন সন্তান পুলিশ সদস্যের মৃত্যুতে জামালপুরবাসীসহ জামালপুর জেলা পুলিশ অত্যন্ত শোকার্ত ও মর্মাহত হয়েছন।