মো. ইব্রাহিম খলিলঃ
দেশের এমপিওভুক্ত প্রায় ৫ লক্ষাধিক শিক্ষক-কর্মচারী যুগের পর যুগ আর্থিকসহ বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। তারা বিভিন্ন সময় সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন ও কুটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েও কোনো প্রকার সুফল না পাওয়ায় আগামীকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখ থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সারা দেশ থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী সমবেত হচ্ছেন।
জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষা শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন।
প্রসঙ্গত, দেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি দীর্ঘ দিনের। কিন্তু অদৃশ্য কারণে স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
সরকারি-বেসরকারি শিক্ষকদের শিক্ষাগতযোগ্যতা, শিক্ষাক্রম ও কর্মঘণ্টা ও অন্যান্য দায়-দায়িত্ব একই রকম হওয়া সত্ত্বেও সরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মাঝে বিরাজমান বৈষম্যগুলো হলো- সরকারি শিক্ষকরা বাড়ি ভাড়া পান মূলবেতনের ৪০-৫০% আর এমপিওভুক্ত বে শিক্ষকরা পান মাত্র ১ হাজার টাকা, সরকারি শিক্ষকরা মূলবেতনের সমপরিমাণ দু’টি উৎসব ভাতা পেয়ে থাকেন আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মূলবেতনের ২৫%, সরকারি শিক্ষকরা চিকিৎসা ভাতা পান ১ হাজার ৫শ’ টাকা আর এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা পান মাত্র ৫শ’ টাকা। এছাড়াও, সরকারি শিক্ষকদের রয়েছে বদলি, পদোন্নতি ও পেনশন সুবিধা। অথচ এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা এসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত।