শেখ মোঃ সাইফুল ইসলাম, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমাটবাঁধা ইউরিয়া সার নিযে ডিলাররা বিপাকে পড়েছেন।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে এ উপজেলায় ২৭ হাজার ৫’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চারা রোপন করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ১৫ ইউনিয়ন ও ১ পৌরসভায় বিসিআইসির নিয়োগকৃত ১৬ জন ডিলার প্রতিজনই ১’শ ৬ মেট্রিক টন করে ইউরিয়া সার উত্তোলন করেন। উক্ত উত্তোলিত সারের ২০% জমাটবাঁধা হওয়ায় তা ধান চাষীরা ক্রয়ে অনীহা প্রকাশ করছেন। এ অবস্থা চলতে থাকায় ডিলাররা জমাটবাঁধা ইউরিয়া সার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এতে ডিলারদের লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৯ লাখ ৬৩ হাজার ২’শ টাকা। এছাড়া ধান চাষীরা নির্ধারিত সময়ে রোপনকৃত বোরো ধানে সার দিতে না পারায় ধানের চারাগুলো সতেজ হয়ে উঠছেনা। ফলে চলতি বোরো মৌসুমে ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ব্যাহত হতে পারে বলে কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করে হতাশায় ভুগছেন।
নাচনি ঘগোয়া গ্রামের চাষী আব্দুর রশিদ, চাচিয়া মিরগঞ্জ গ্রামের হাবিবুর রহমানসহ অনেকে জানান জমাটবাঁধা সারের তুলনামূলক গুণগত মান না থাকায় তা প্রয়োগ করেও কোন কাজে আসছে না।
এ নিয়ে বিসিআইসি সার ডিলার সমিতির সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার ডাব্লিউ ও ডিলার একরামুল জানান, বাফার গোডাউন থেকে বরাদ্দের ২০% জমাটবাঁধা সার উত্তোলনে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে। এদিকে উত্তোলনকৃত জমাটবাঁধা সার কৃষক ক্রয় করতে অনীহা প্রকাশ করায় ডিলাররা তা বিক্রি করতে হিমসিম খাচ্ছেন। জমাটবাঁধা সার বিক্রি না হওয়ায় ডিলারদের গোডাউনে বস্তাগুলো মজুদ থাকছে।
এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, বরাদ্দকৃত সারগুলো চীন দেশের। তবে এর গুনগত মান ঠিক আছে। চাষীরা কেন ক্রয় করছেন না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।