ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক:
কুমিল্লার মেঘনায় চু’রির অভিযোগে এক যুবকের হাত-পা বেঁ’ধে গাছের সঙ্গে ঝু’লিয়ে নি’র্যাতন করেছেন বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য আলম। এ ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত ওই মেম্বারকে গ্রেফতার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেঘনা উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নি’র্যাতনের শিকার ওই যুবক কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চম্পকনগর গ্রামের মো. কুদ্দুসের ছেলে মো. রাসেল (৩২)।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ১ মিনিট ৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা বেঁ’ধে যুবককে গাছে ঝু’লিয়ে পে’টানো হচ্ছে। যুবককে পে’টাচ্ছেন পাঞ্জাবি পরা ইউপি সদস্য মো. আলম।
এ সময় ওই যুবক ‘আমারে মাপ করে দেন’ বলে বারবার চিৎকার করছেন। ‘আমি আর করুম না, আমারে ছাইড়া দেন’ বলেও চিৎকার করছিলেন। এরপরেও তার শরীরে আবারও আ’ঘাত করতে দেখা যায় ওই ইউপি সদস্যকে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ বিষয়ে উপজেলার বড়কান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুক হোসেন রিপন বলেন, ‘বড়কান্দা ইউনিয়নের বড়কান্দা গ্রামে প্রায় ২৫ দিন আগে ১৮টি টিউবওয়েল চু’রি হয়েছে।
এ ঘটনার পর থেকে মানুষ সচেতন হয়ে যায়। বুধবার রাতে বড়কান্দা গ্রামের মনির মির্জার বাড়িতে টিউবওয়েল চু’রির সময় ওই যুবককে রাতে আটক করা হয়। সকালে উৎসুক জনতা তাকে আটক করে পি’টুনি দেয়। এ সময় আমাদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মেম্বার মো. আলম গিয়েও তাকে শাসন করে। আমিও ভিডিওটি দেখেছি।
মেম্বারের আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত হয়নি।’
এদিকে ঘটনার পর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ওই মেম্বার এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাটির পর পুলিশ ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তিনি এখন পুলিশের হেফাজতে আছেন। অপরদিকে অভিযুক্ত ওই ইউপি সদস্যকে ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’