ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ব্যাপক হারে মানুষ ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে। মহেশপুর ৫৮ বিজিবি সূত্রে এ খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করা হলেও বিজিবি তা ব্যর্থ করে দিচ্ছে। গত দুই সপ্তাহে এরকম ১৫/২০জনকে বিজিবি আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। করোনাকালীনও বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ জড়ো হচ্ছে মহেশপুর সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে। সীমান্ত এলাকার এক শ্রেণির দালাল মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ভারতে পাচার কাজে সহায়তা করছে।
বৃহস্পতিবার ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম খাঁন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মহেশপুর উপজেলার সস্তার বাজার এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় দিপিকা সরকার (২৮) নামে এক যুবতীকে বিজিবি আটক করেছে। তিনি গোপালগঞ্জের মকছেদপুর উপজেলার দিঘরা গ্রামের অনুকুল সরকারের মেয়ে। যাদবপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় সীমান্ত পিলার ৫১ হতে আনুমানিক ৮কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে বিজিবি সদস্যরা দিপিরা সরকারকে আটক করে। এ সময় পাচার কাজে নিয়োজিত দালাল মহেশপুরের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে মনিরুল ইসলামকে বিজিবি হাতেনাতে ধরে ফেলে। তবে পালিয়ে যায় মনিরুলের আরেক সহযোগী জুলুলি গ্রামের আলম দালাল। অবৈধভাবে বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গমনে সহায়তা করার অপরাধে দালাল মনিরুল ও আলমের বিরুদ্ধে মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ১টি অটোরিক্সা, ২টি মোবাইল সেট ও ২টি সীমকার্ড জব্দ করেছে।