নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ফাইল ছবি
অনলাইন ডেস্ক>> উপজেলা নির্বাচনে ভোটের হার নিয়ে কমিশনের কোনো মাথা ব্যথা নেই বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
ভোটের হার কম পড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, পার্সেন্টেজ ইজ নট ম্যাটার। ভোটের হার কত হলো এটা নিয়ে কমিশনের মাথা ব্যাথা নেই। বিষয়টি হলো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা।
রোববার তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, অনিয়মের কারণে এ ধাপে মোট ৯ হাজার ২৯৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলার ভোট পুরোপুরি স্থগিত করা হয়েছে।
ভোট কম পড়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, একটি জোট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তাদের সমর্থক তো রয়েছে। তারা তো ভোটকেন্দ্রে আসেনি। আবার তাদের পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্রে না আসার জন্য প্রচারণাও রয়েছে। এসব আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কত শতাংশ ভোট পড়তে হবে; কত শতাংশ হলে এটি গ্রহণযোগ্যতা পাবে কি পাবে না- এ বিষয়ে আমাদের দেশে কোনো আইন নেই।
ইসি সচিব বলেন, প্রথম দফায় ৪৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। দ্বিতীয় দফায় রাঙ্গামাটির উপজেলাগুলোতে ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। ওই ভোট যুক্ত হলে ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছি। আর তৃতীয় ধাপেও ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়বে বলে আমাদের আশা।
নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, তৃতীয় ধাপে ১১৭টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু অনিয়মের কারণে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ভোট বন্ধ করা হয়েছে এবং সেখানে দায়িত্বে থাকা সেখানকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও ওই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরও কেউ এর সঙ্গে জড়িত হলে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে।
ইসি সচিব জানান, চট্টগ্রামের চন্দনাইশে দুইপক্ষের সংঘর্ষে একজন পুলিশ কনস্টেবল গুলিতে আহত হন। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে এনে ঢাকার হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
মোটোমুটি ভালো ভোট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন আজকের ভোটে মোটামুটি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ইসির যুগ্ম-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও এসএম আসাদুজ্জামান।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর