মোঃ সাইফুল্লাহ খাঁন, জেলা প্রতিনিধি, রংপুর :
রংপুরের ফুটপাতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে সর্বশান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে শত শত দোকান মালিক ও শ্রমিক। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ঘোষণা অনু্যায়ী পরিচ্ছন্ন নগরী ও পথচারীদের ঝুঁকিমুক্ত চলাচল নিশ্চিত করতে গত ২১ অক্টোবর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) বেলা ১১টায় রংপুর সিটিকর্পোরেশন চত্ত্বরে সকল ভুক্তভোগীরা জড়ো হয়ে মেয়র মোস্তাফিজার রহমানের সাথে সাক্ষাতের জন্য অপেক্ষা করেন। বাংলাদেশ হকার্স লীগ,রংপুর জেলা শাখার সভাপতি আমির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাহাতুল ইসলাম রাহাত, জাতিয় হকার্স সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির মিঠুর নেতৃত্ব ফুটপাতের সকল খুদে মালিকদের নিরাপদ পুনর্বাসনের দাবিতে সিটিকর্পোরেশন মেয়রকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় জাতীয় হকার্স সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির মিঠু মেয়রের উপস্থিতিতে অনুরোধপূর্বক বলেন, আমরা আপনার আদেশে ফুটপাত ছেড়ে দিয়ে বেকার জীবন যাপন করছি। আমরা বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপনায় খোলা আকাশের নিচে ছোট ব্যবসা ও স্বল্প দামের পণ্য-বস্ত্র বিক্রি করি। এদিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনো রকম সংসার পরিচালনা করি। এখন ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের মুখে দুমুঠো ভাত তুলে দেয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। মাননীয় প্রধানমত্রী রংপুরের বধূ। তিনি কামার-কুমার জেলে-তাঁতী, গরীব-দু:খী ও মেহনতী মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অথচ আমরা মেহনতী মানুষগুলো আজ অসহায় হয়ে পথে পথে ঘুরছি। তাই আপনার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি রংপুরের ফুটপাতের দোকান মালিকদের জন্য বঙ্গবন্ধুর নামে একটি হকার্স মার্কেট স্থাপন করার। বাংলাদেশ হকার্স লীগ জোর দাবি করে জানান, কোনো প্রকার পুনর্বাসন ছাড়া অবহেলিত হকারদের উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে। পরে মেয়র মোস্তাফিজার রহমান হকার্সদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছি যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তবে সময়ের প্রয়োজন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংশ্লিষ্ট উর্ধবতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করবো। আপনাদের প্রতি কোনো অবিচার করা হবে না, আপাতত ফুটপাতে নতুন করে কোন দোকান বসাবেন না। আমরা আপনাদের সাথেই আছি এবং থাকব ইনশাল্লাহ।
পরিশেষে বাংলাদেশ হকার্স লীগ নেতৃবৃন্দ হকার্সদের দাবি পূরণ ও নিরাপদ স্থানে পুনর্বাসন না হওয়া পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে মেয়র ও সিটি কর্পোরেশনের সকল কাউন্সিলরদের দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়