স্কুলছাত্র সালাউদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত।
অনলাইন ডেস্ক >> পিরোজপুরে পাঁচ লাখ টাকার মুক্তিপণ না পেয়ে স্কুলছাত্র সালাউদ্দিনকে (১৩) একদল কিশোর অপরাধী হত্যার পর খালে ফেলে দেয়। অপহরণের দুই দিন পর পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার পাড়েরহাটের উমেদপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে ওই স্কুলছাত্রের হাত বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, সালাহউদ্দিন পাড়েরহ্টা রাজলক্ষ্মী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা উমেদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান পাড়েরহাট বাজারের ফল ব্যবসায়ী।
আজ সোমবার দুপুরে উমেদপুর খালের পাশে একটি ডোবা থেকে পুলিশ ভাসমান অবস্থায় সালাহউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। এর আগে পুলিশ স্থানীয় বিভিন্ন জায়গা থেকে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৯ জনকে আটক করেছে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে সালাউদ্দিন শব-ই-কদর এর নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে সন্ধান ও মাইকে নিখোঁজ সংবাদ প্রচার করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। এদিকে পরের দিন রবিবার সকালে একটি মোবাইল থেকে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে সালাউদ্দিনের পরিবারের কাছে ফোন দেওয়া হয়। অপহরণকারীরা আলামত হিসেবে সালাউদ্দিনের পায়ের জুতা ও টর্চলাইট পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দ্রুত মুক্তিপণ দিতে চাপ দেয়। বাবা সিদ্দিক বিষয়টি পুলিশকে জানালে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে স্থানীয় নয় যুবক ও কিশোরকে পুলিশ আটক করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও পুলিশ অপহৃত সালাহউদ্দিনের সন্ধান পায় নি।।
সিদ্দিকুর রহমান জানান, অপহরণকারীদের তথ্য ছিল তার কাছে সদ্য বাড়ি বিক্রি করা ছয় লাখ টাকা রয়েছে। আজ দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ উমেদপুর খালের পাশে একটি ডোবা থেকে স্থানীয় লোকজন সালাহউদ্দিনের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মোল্লা আজাদ হোসেন আজ বিকালে পুলিশ অফিসে প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে স্কুলছাত্র হত্যার ঘটনাটি জানিয়ে বলেন, এ পর্যন্ত ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ৯ জনকে পুলিশ আটক করেছে।আটকদের বেশির ভাগই কিশোর এবং স্থানীয় স্কুল ও মাদ্রাসার ছাত্র। তাদের মধ্যে রয়েছে সোহান শেখ (১৯), নাঈম (১৭), হাফিজুল (২০), শাওন (১৪), বেল্লাল (১৫) ও তন্ময় (১২)।