ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক >> বরগুনার পাথরঘাটায় দাদনের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় জেলেকে শেকলে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ট্রলার মাঝি জাকির হোসেন রোববার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলে জসীমকে শেকলে দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জসীম পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের হাজিরখাল এলাকার বাসিন্দা।
জসিম জানান, চারমাস আগে তিনি পাথরঘাটার নজরুলের মালিকানাধীন ট্রলারে জেলে হিসেবে সাগরে মাছ ধরতে ৮ হাজার টাকা দাদন নিয়েছিলেন। মৌসুমের শুরুতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ট্রলারের মাঝি জাকির সাগরে যেতে তাড়া দেন। কিন্তু তিনি যেতে রাজি হননি।
রোববার সকালে বাজারে আসলে জাকিরের সঙ্গে জেলে জসীমের দেখা হয়। এসময় জসীমকে লঞ্চঘাটের সয়াদত নগরের ট্রলারের কাছে নিয়ে আসেন মাঝি জাকির। জাকির টাকা ফেরত চাইলে জসীম ১৫ দিন সময় চান। কিন্তু সময় না দিয়ে অন্যান্য জেলেদের সহায়তায় জাকিরকে শেকল দিয়ে বেঁধে মারধর করেন।দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলে জসীমকে বেঁধে নির্যাতন করা হয়। খবর পেয়ে ট্রলার মালিকের ছোট ভাই আল-আমিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে জসীমকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠান।
ওই ট্রলার মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, মৌসুমে মাঝির দায়িত্বেই ট্রলার মাছ শিকারে যায়। জেলে জোগার, দাদন দেয়াসহ জেলেদের সব দায় দায়িত্ব থাকে মাঝির ওপর। এ ঘটনা আমি শুনে তাৎক্ষণিক ছোট ভাইকে পাঠিয়ে জসীমকে মুক্ত করে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি। মাঝি জাকির যে ঘটনা ঘটিয়েছে জেলে সমিতির মাধ্যমে এর বিচার হবে।
মাঝি জাকির হোসেন বলেন, জসীম আরও কয়েকটি ট্রলারের দাদন নিয়েছে বলে খবর পেয়েছি। আমাদের টাকা ফেরত চাইলে দিচ্ছিল না। তাকে ট্রলারের স্টাফদের কাছে রেখে আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম। কে বা কারা বেঁধেছে আমি জানি না।
পাথরঘাটা জেলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক দুলাল মাঝি জানান, জেলে সমিতিতে ভুক্তভোগী জেলে অভিযোগ করলে এবং এর সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত মাঝির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাথরঘাটা থানার ওসি হানিফ সিকদার বলেন, ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।