আনিছুর রহমান মানিক, নিজস্ব প্রতিবেদক, নীলফামারী>>
নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকায় নলকুপ বসানো নিয়ে বিরোধের জেরে মারপিটে গুরুতর আহত নলকুপ মিস্ত্রি জুয়েল হোসেন(২২) শনিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী হাতিবান্ধা মোড়ে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। এ সময় ব্যস্ততম এ সড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৮ঘন্টার মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেয়ার পরে অবরোধকারীরা সড়ক ছেড়ে দেয়।
নীলফামারী নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ গত বৃহস্পতিবার নীলফামারী থানায় অভিযোগ করে বলেন, রামনগর ইউনিয়নের বিষমুড়ি এলাকার মৃত অফদ্দি মামুদের ছেলে কালা মহির(৫৪) তার বাড়িতে নলকূপ বসানোর জন্য ইটাখোলা ইউনিয়নের শ্রীনাথ এলাকার মৃত সুলতান মিয়ার ছেলে মিস্ত্রি জুয়েল হোসেনকে দায়িত্ব দেয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে জুয়েল অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় নলকূপ পরে বসানোর কথা বললে কালা মহির, ছেলে ইদ্রিশ আলী, নুর কালাম ও নুরুজ্জামানসহ তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা জিআই পাইপ দিয়ে বেধরক মারপিট ও কিলঘুষি মারে। এলাকাবাসী ছুটে এসে গুরুতর আহত জুয়েলকে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার মারা যায়। জুয়েল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত হাতিবান্ধা মোড়ে নীলফামারী-জলঢাকা সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ প্রশাসন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী সড়ক ছেড়ে দেয়।
নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোমিনুল ইসলাম প্রতিবেদককে বলেন, জুয়েল হত্যার সাথে জড়িতদের যে কোন মূল্যে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এতে কোন ছাড় দেয়া হবে না।