অনলাইন ডেস্ক : ডিম সবচেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার আইটেমের একটি। সুস্থ জীবনধারার জন্য যে খাবারগুলো সুপারিশ করা হয় বহুমুখী শক্তিসম্পন্ন উপাদান হিসেবে ডিম সেসবের মধ্যে শীর্ষে। বেশিরভাগ খাদ্য পরিকল্পনায় ডিমের উপস্থিতি থাকেই। যে কোনো বয়সের মানুষই এটি খেয়ে থাকে।
খনিজ ও ভিটামিনে সমৃদ্ধ খাদ্য উপকরণ ডিম খেতেও সুস্বাদু। মানবদেহের বিকাশ ও পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টির উপস্থিতি এতে রয়েছে। এই কারণে অধিকাংশ পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাস্তায় ডিমকে সেরা বিকল্প হিসেবে সুপারিশ করে থাকেন।
মনে রাখতে হবে, নাস্তা হচ্ছে দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু একই জিনিস প্রতিদিন খাওয়ার বিষয়টি আপনার কাছে বিরক্ত লাগতে পারে। তাই এটি খাওয়ার ক্ষেত্রে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন।
প্রশ্ন থাকতে পারে অন্য সময় না খেয়ে কেন নাস্তায়ই খেতে হবে। নিচে তার কয়েকটি কারণ দেওয়া হলো:
প্রোটিন উৎস
সাদা অংশ এবং কুসুম- ডিমের উভয় অংশেই রয়েছে প্রচুর প্রোটিন। ফলে ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে আপনার দিনটি শুরু হচ্ছে শরীরে প্রোটিন গ্রহণের মধ্য দিয়ে। একটি বড় সাইজের ডিমে ছয় গ্রাম প্রোটিন থাকে যা প্রতিদিন শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিনের ১১% থেকে ১৪%। তাই, এটি আপনার দিন শুরু করার সঠিক পরিমাণ।
শক্তি বৃদ্ধি
সকাল বেলায়ই একটি ডিম আপনার দুর্বলতা দূর করে দেবে। যেহেতু ডিম প্রোটিনের একটি চমৎকার উৎস, তাই সকালে শক্তি বৃদ্ধির জন্য এটি যথোপযুক্ত খাবার। প্রোটিন কার্বোহাইড্রেটের তুলনায় দেহে ভেঙে পড়তে বেশি সময় নেয়। এতে আপনার শক্তিও বেশি সময় স্থায়ী হয়।
ক্ষুধা হ্রাস
গবেষণায় দেখা গেছে, সকালে ডিম খেলে সারাদিন কম খিদে লাগে। এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য পূর্ণ রাখে এবং সঠিক পুষ্টি দিয়ে আপনার শরীরকে সন্তুষ্ট করে তোলে। এতে আপনি ভারি খাবার খেতে পছন্দ করবেন না এবং সারা দিন কম খেতে পারবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যদি আপনার ঘন ঘন খিদে না লাগে তাহলে ঘন ঘন খাবার গ্রহণেরও প্রয়োজন হবে না। ফলে আপনার ওজনও বাড়বে না। একটি বড় ডিমে কেবল কার্বোহাইড্রেট থাকে ০.৬ গ্রাম এবং কোনো সুগার থাকে না যা ওজন বৃদ্ধির প্রধান কারণ। তাই ওজন কমাতেও আপনি খেতে পারেন ডিম।
দ্রুত বিপাক
এক গ্লাস গরম পানি আপনার বিপাক ক্রিয়ায় চমৎকার কাজ করে। কিন্তু একটি ডিম কাজ করে এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি। ডিমে রয়েছে সব প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা বিপাকে সাহায্য করে। আর এতে যে প্রোটিন থাকে তাতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার তাপীয় প্রভাব যা বিপাক ক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া