crimepatrol24
২০শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, এখন সময় রাত ১:০০ মিনিট
  1. অনুসন্ধানী
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইটি বিশ্ব
  5. আইন-আদালত
  6. আঞ্চলিক সংবাদ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. আফ্রিকা
  9. আবহাওয়া বার্তা
  10. আর্কাইভ
  11. ই-পেপার
  12. ইউরোপ
  13. ইংরেজি ভাষা শিক্ষা
  14. উত্তর আমেরিকা
  15. উদ্যোক্তা

নাসিরনগরে বাঁশ আর কলা গাছের তৈরী শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানালো শিক্ষার্থীরা

প্রতিবেদক
মো: ইব্রাহিম খলিল
ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২০ ২:৪৬ অপরাহ্ণ

আকতার হোসেন ভুইয়া,নাসিরনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)সংবাদদাতা ॥ শিক্ষার্থীরা কেউ দেখেনি গৌরবের সেই ভাষা আন্দোলন। শিক্ষার্থীদের ইচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে থাকবে সুন্দর একটি শহিদ মিনার। সেই শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। দিন যায় মাস যায় বছরও। তবুও নাসিরনগর উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষকদের এ ইচ্ছে পূরণ হয় না। উপজেলার যে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার রয়েছে,তাও হতশ্রী ও ভাঙাচোরা টাইপের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের কথা। কিন্তু উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহিদ মিনার নেই। ফলে বাধ্যবাধকতা থাকায় শহিদ মিনারবিহীন বিদ্যালয়গুলোতে কলাগাছ,বাশঁ,কাঠ ও কাগজ দিয়ে নিজেরা তৈরি করে অস্থায়ী শহিদ মিনার। ২১ ফেব্রুয়ারিতে ওই শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানায় শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। শোক আর প্রাপ্তির গৌরবকে শ্রদ্ধায় স্মরণ করে ২১ ফেব্রুয়ারিতে উপজেলার চাতলপাড় ডিগ্রী কলেজ,হরিণবেড় শাহজাহান উচ্চ বিদ্যালয়,হরিণবেড়,রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভাষা শহিদদের স্মরণে বাঁশের তৈরী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ।আবার কোন কোন বিদ্যালয়ে কলা গাছের তৈরী বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে। তারপরও ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একুশের আয়োজনের অংশ হতে পেরে শিক্ষার্থীরা মহাখুশী।
চাতলপাড় ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ওমর আলী জানান, আমার কলেজে শহিদ মিনার নেই,সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী দিবসটি উদযাপনে বাধ্যবাধকতা থাকায় ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কলেজ চত্বরে নিজেদের তৈরী বাঁশের অস্থায়ী শহিদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
উপজেলায় ১২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,১৭টি মাধমিক বিদ্যালয়,২টি স্কুল এন্ড কলেজ,২টি কলেজ ও ৬টি মাদ্রাসা রয়েছে। এরমধ্যে ৩টি কলেজ ও ৬টি বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহিদ মিনার রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উম্মে সালমা বিভিন্ন বিদ্যালয়ে অস্থায়ী শহিদ মিনারে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে নিশ্চিত করে তিনি বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা পালনের বাধ্যবাধকতার জন্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো পরিপত্র দেয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে শহিদ মিনার নির্মাণের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে কোন নির্দেশনা নেই বলেও তিনি জানান।

Share This News:

সর্বশেষ - জাতীয়

আপনার জন্য নির্বাচিত