অনলাইন ডেস্ক : বরপক্ষের অতিথিদের খাবার কম পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বর নিজেই বিয়ের আসরে বসে কনেপক্ষের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হন। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার সময় বর নিজেই ইট দিয়ে শ্যালকের মাথায় আঘাত করেন। এ ঘটনায় শ্যালককে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠালে উত্তপ্ত হয়ে উঠে এলাকার পরিবেশ। পরে বর ও তার বাবা-চাচাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কনে ছাড়াই বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করে।
আজ শুক্রবার বিকেলে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কালিয়াপড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ের সাথে পাশের খারুয়া ইউনিয়নের আব্দুল কাদির মেম্বারের ছেলে আসাদুজ্জামানের (২৫) বিয়ের তারিখ ছিল আজ। বর স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বাদ জুমা অতিথিদের আপ্যায়ন শুরুর কথা। দুপুর আড়াইটার পর বর ও তার পক্ষের লোকজন এলে শুরু হয় তাদের খাওয়ার পালা। কয়েক দফায় খাওয়ানোর পর শেষ পর্যায়ে খাবার কম পড়ে যায়। এ সময় কনেরপক্ষের লোকজন দুঃখ প্রকাশ করে বরের বাবা ও চাচাকে তাদের অতিথিদের নিয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু তারা তা মানতে নারাজ। এ অবস্থায় বরের লোকজন উচ্চবাচ্য শুরু করলে দুই পক্ষই তর্কে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে কনের চাচাতো ভাই রাজন মিয়া (১৮) ক্ষিপ্ত হয়ে গেলে বর আসাদুজ্জামান তার ওপর চড়াও হন। এক পর্যায়ে বর একটি ইট হাতে নিয়ে শ্যালক রাজনের মাথায় সজোরে আঘাত করেন। রাজন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এ সময় এলাকার লোকজন বরকে ধরে মারপিট শুরু করেন। এমতাবস্থায় অন্যরা এগিয়ে এসে বর ও তার বাবা-চাচাসহ অন্যদের একটি ঘরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
পরে নান্দাইল থানার উপ পরিদর্শক আব্দুছ ছাত্তার একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন পরিস্থিতি উত্তপ্ত। পরে বর ও তাদের লোকজনকে উদ্ধার করে তাদের গাড়িতে করে কনে ছাড়াই বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। তিনি লোকজনের সাথে কথা বলে জেনেছেন যে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য বর নিজেই দায়ী।
এ ব্যাপারে কনের চাচা আব্দুল হেকিম মেম্বার বলেন, আল্লাহ যা করেন তা ভালাই করেন। এ ধরনের সন্ত্রাসী বরের কাছে মেয়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
অন্যদিকে, কনের বাবা আব্দুল কাদির বলেন, তারা এমন আগে জানলে তাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতাম না।