বিশেষ প্রতিনিধি >> কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নৈয়াইর গ্রামে সৎ পুত্রের পিটুনিতে বিধবা মা ফাতেমা এখন হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন।
জানা যায়, গত ২৫ মার্চ সকালে বৈদ্যুতিক পাখা আনতে দোতলা থেকে নেমে নীচতলার রুমে যায় সালাউদ্দিন মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগম। তখন ফাতেমার ভাসুর জালাল মিয়া ও শাশুড়ি আয়েশা বেগমের নির্দেশে ফাতেমার সৎপুত্র সানাউল্লাহ মিয়া, রবিউল্লাহ রবি, সতীন নারগিস বেগম এবং চাচা শ্বশুর ফজলুল হক ফাতেমাকে বেদম মারপিট করে। কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পরসহ লাঠি দিয়েও আঘাত করে। এসময় ফাতেমার সাত বছরের শিশুকন্যা আনিশা হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে। কান্না শুনে পাশের ঘরের আনোয়ার হোসেন এবং রুমি আক্তার ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। পরে ফাতেমাকে গৌরীপুরস্থ দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সে এখনো হাসপাতালের ৩০ নং বেডে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফাতেমা জানায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে এভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। কয়েকমাস আগে তার স্বামী সৌদি আরবে মারা যায়। এ মৃত্যুটিও রহস্যজনক বলে দাবী করেন ফাতেমা বেগম। কিছুদিন পূর্বে লাশ দেশে আনা হলেও ফাতেমাকে না জানিয়ে লাশ দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হয়। পরে ফাতেমার বাঁধার কারণে দাফন করতে বিলম্ব হয়। পুলিশ বাড়িতে আসলে লাশ ফেলে দিয়ে জালাল মিয়া এবং সানাউল্লাহ মিয়া পালিয়ে যায়। ডেথ সার্টিফিকেট এবং টাকা পয়সার হিসাব নিয়ে লুকোচুরি করাতে লাশ দাফনে বিলম্ব হয়। এ বিষয়টি মীমাংসার জন্য একাধিকবার শালিস বসা হলেও কোন সমাধানে আসা যায়নি। এ নিয়েও থানায় পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ করা আছে।