আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে এক স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের চেষ্টা মামলার আসামী বহাল তবিয়তে। মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি, অপরদিকে দীর্ঘদিনে আসামী গ্রেফতার না হওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ডোমার উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম চিকনমাটি স্টেশন পাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের পুত্র মারুফ আলম (২০) দেবীগঞ্জ উপজেলার সবুজ পাড়া গ্রামের হোটেল ব্যবসায়ীর কন্যা দেবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী (১৫)’র সাথে মারুফের আত্মীয়তার সূত্রে তার বাড়ীতে আসা- যাওয়া করতো। এরই ধারাাহিকতায় মারুফ ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই ছাত্রী তাতে রাজি না হওয়ায় আসামী মারুফ আলম মোবাইল ফোনে ছবি তুলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। প্রায়ই মোবাইল ফোনে উত্ত্যক্ত করতো বলে মামলার বাদী জানান। বিষয়টি ছাত্রীর পরিবার মারুফের বাবা মাকে জানালে মারুফ ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় লম্পট মারুফ ছাত্রীর বাড়িতে গেলে, বাড়ী ফাঁকা পেয়ে ছাত্রীকে তার শয়ন কক্ষে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে অবস্থা বেগতিক দেখে সুকৌশলে মারুফ পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গত ২৫/০২/২০১৯ ইং তারিখে দেবীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৯ (৪) খ ধারায় মারুফকে আসামী করে মামলা নং-১২ দায়ের করেন। দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হাসান সরকার মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য ডোমার থানায় স্থানান্তর করেন।
এ বিষয়ে ডোমার থানার ওসি (তদন্ত) বিশ্বদেব রায় বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে প্রতিবেদন দেবীগঞ্জ থানায় পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ছাত্রীর মা প্রতিবেদককে জানান, মামলার আসামী মারুফ প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাকে ধরছে না। অপরদিকে, মামলা তুলে নিতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে আসামী মারুফ আলমের মুঠো ফোন-০১৭৩৮-৭০৪৪৯৭ নম্বরে একাধীকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি।