আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে ভুমি দস্যুর কবলে পড়ে অসহায় নাট্যকর্মী বাসুদেব রায়ের পরিবার আজ সর্বশান্ত। পৌত্রিক বসতভিটা জবর দখল করলো কতিপয় ভুমিদস্যু। আদালতের আদেশ থাকা সত্বেও বাবার ভিটা বেদখল হওয়ায় বিচারের আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন ফল না পাওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছে বাসুদেবের পরিবার।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ডোমার সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দোলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত সুজন রায়ের ছেলে ডোমার সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের নাট্য সম্পাদক বাসুদেব রায়ের প্রতিবেশী শ্যাম চরণ রায়ের ছেলে গজেন চন্দ্র ও জগেশ চন্দ্র গংদের সাথে জোত জমা নিয়ে মামলা চলে আসছে। বাসুর বাবার ক্রয়কৃত ৩৩শতক জমি তারা দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখল করে আসছে। হঠাৎ করে গজেন, জগেশ গং বাসুর জমিটি জবর দখলের চেষ্টা চালায়। এ বিষয়ে বাসুদেব রায় বাদী হয়ে জেলার বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিট্রেট আদালতে মামলা দায়ে করে। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে প্রমানের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর আদালত বাসুর পক্ষে রায় প্রদান করেন। আদালতের আদেশ মতে তৎকালীন ডোমার থানার এএসআই আব্দুর রউফ মন্ডল নোটিশ জারির মাধ্যমে বিবাদী পক্ষকে বিষয়টি অবগত করেন। মামলায় হেরে গিয়ে বিবাদীদ্বয় ক্ষিপ্ত হয়ে আদালতের আদেশ অমান্য করে শত্রুতামূলক ওই জমিতে নোংরা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষনের চেষ্টা চালায়। এতে করে বিবাদীগণ পরিকল্পিতভাবে ২০১৯ সালের ১৭এপ্রিল সকালে তারা তাদের দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাসুর ডিক্রিপ্রাপ্ত জমিতে জোরপূর্বক টিনের ঘড় তোলে। এ বিষয়ে বাসুর পরিবার বাধা -নিষেধ করতে গেলে লাঠি সোটা নিয়ে বাসুর পরিবারের ওপর হামলা চালায়। নিরুপায় হয়ে বাসুদেব রায় ১৮এপ্রিল ডোমার থানায় বিবাদীগণের বিরুদ্ধে অভিযোগ নং- ৮৬১ দায়ের করে।
ডোমার থানার এএসআই দিজেন্দ্র নাথ রায় ঘটনা স্থল পরিদর্শনে যান। তিনি জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে কাগজপত্রে দেখি গজেনের বাবা বাসুর বাবার কাছে জমি বিক্রি করেছে, এটা তারা মানতে চায়না। এমন কি, আদালতের আদেশকে অমান্য করেছে তারা। বাসুদেব রায় থানার অভিযোগ দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।