ডেস্ক রিপোর্ট :
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তার ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করছে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে মনোনয়ন যাচাই-বাছাই। এছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত এবং প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর। প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রচার করতে পারবেন ১৮ ডিসেম্বর থেকে।
এর আগে বিকেলে নির্বাচনের তফসিল ঠিক করতে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল তার দফতরে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়ে এ বৈঠকে বসেন। এতে ইসি সচিব, অতিরিক্ত সচিব, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল ২০১৮ সালে। কে এম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রথমে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর ভোটের তারিখ রেখে তফসিল দিয়েছিল। পরে ভোটগ্রহণের তারিখ ৭ দিন পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর করা হয়েছিল।
তার আগে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর দশম জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষণা করে কাজী রকিব উদ্দিন কমিশন। ওই তফসিলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হয়।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র হচ্ছে ৪২ হাজার ১০৩টি। এক্ষেত্রে প্রায় ১০ লাখ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে। বাড়বে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্য সংখ্যাও। এবার ভোটের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৪৪৪ কোটি টাকা।