চকরিয়া প্রতিনিধি: আগামী ২৫ ডিসেম্বর (শনিবার) খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’।এই উৎসবকে ঘিরে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারার চা-বাগানসহ সব খ্রিস্টান পল্লীতে উৎসবের প্রস্তুতিমূলক নানান আয়োজনের সাজ-সাজ রব পড়েছে।এছাড়া খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ ‘বড়দিন’কে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর নিরাপত্তা নেওয়া ব্যবস্হা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট, হারবাং, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ঘুনিয়া ও পার্বত্য হায়দারানাশীর খ্রিস্টান পল্লী রয়েছে।এসব পাঁচটি ব্যাপ্টিস চার্চ রয়েছে।উক্ত স্হানগুলোতে প্রায় ১০/১২ হাজার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী বসবাস করেন। সবচেয়ে বেশি বসবাস করেন ডুলাহাজারার-মালুমঘাট চা-বাগানস্থ খ্রিস্টান পাড়ায়। সুতরাং শুভ বড়দিন কে ঘিরে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ,উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজের পাশাপাশি পল্লীগুলোতে হরেক রকমের সাজসাজ রব পড়েছে।এই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় উপসনা দিয়ে শুরু হবে বড়দিনের উৎসব।
চকরিয়া উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও মেমোরিয়াল খ্রিস্টান ব্যাপ্টিস চার্চের পুরহিত মিন্টু দাশ বলেন, শুভ বড়দিনকে ঘিরে ইতোমধ্যে চার্চগুলোতে প্রস্ততি নেওয়া হয়েছে। এজন্য ব্যাপ্টিস চার্চগুলোকে আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন ধরনের শৈল্পিক রুপ দেওয়া হয়েছে। বড়দিন যীশু খ্রিস্টের জন্মদিন। বড়দিন মানুষে মানুষে সহাবস্থান। বড়দিন মানে মানে হিংসা-বিদ্বেষ, হানাহানি সমস্ত কিছু ভুলে মানবতার পথে চলা। বড়দিন মানে মানুষের মাঝে শান্তি স্থাপন। বড়দিন মানে সেবা করা, ক্ষমা করা ও নত হওয়া। বড়দিন মানে পাপের শৃঙ্খলা থেকে পরিত্রাণের দিন। বড়দিন মানেই মানুষ হয়ে জন্মের দিন, মানব জাতির পরিত্রাণের দিন। এইদিনটি আমাদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ এবং আনন্দমুখর দিন।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মো: ওসমান গণি বলেন, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব”শুভ বড়দিন”। এই উৎসব যেন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উদযাপন করতে পারে সে লক্ষে পুলিশ সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।এখন থেকে উপসনালয়গুলোতে পুলিশ টহল আরম্ভ করেছে।