সম্পাদকীয়
বর্তমান সরকারের রূপকল্প ভিশন-২০২১ এখন আর কোনো স্বপ্ন নয়, এটি এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দেশের জনগণও এর সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। নি:সন্দেহে এক্ষেত্রে সরকার প্রশংসার দাবীদার। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সফলতা অর্জন করেছে এ কথা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সড়ক দুর্ঘটনা একটি উদ্বেগের কারণ। সড়ক দুর্ঘটনা বাংলাদেশের একটি নিত্য দিনের ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও ঘটছে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা,অকালে ঝরে যাচ্ছে অসংখ্য তাজা প্রাণ। বিশেষকরে সড়ক দুর্ঘটনা বর্তমান সময়ে শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলেই বেশি ঘটছে। তার কারণ অনুসন্ধান করলে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে অবাধে চলছে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন অসংখ্য সিএনজি, অটোরিক্সা, নসিমন, করিমন ও ভটভটিসহ নানা রকমের যানবাহন। এসব যানবাহনের অধিকাংশই রাস্তায় চলাচল করার অনুমতি নেই, ড্রাইভারদের নেই কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাস্তার ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে নেই পর্যাপ্ত স্পীড ব্রেকার( বিশেষকরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের রাস্তায়), নির্দিষ্ট গতিসীমা অতিক্রম করে গাড়ি চালানো ইত্যাদিই মূলত সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ী।
তাই জনস্বার্থে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে প্রশাসনের উদ্যোগে অদক্ষ চারকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ঝুঁকিপূর্ণ পয়েণ্টগুলোতে পর্যাপ্ত স্পীড ব্রেকার নির্মাণ, যানবাহন চালানোর ক্ষেত্রে গতিসীমা নির্ধারণ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাস্তায় চলাচলের নিয়ম-কানুন সম্পর্কে ধারনা প্রদান করা হলে প্রাণঘাতী সড়ক দুর্ঘটনা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। আমরা আশা করছি ,প্রশাসন উপরিউক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করবেন।