রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শোমসপুর বাজার এলাকার ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে । শিশু ধর্ষনের সাথে জড়িতদের মধ্যে প্রধান আসামী পালিয়ে গেলেও অপর দুই সহযোগীকে আটক করেছে খোকসা থানা পুলিশ।
ধর্ষিত শিশু ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী শোমসপুর বাজার থেকে ৫’শ গজ দূরে তাদের ভাড়া বাসায় ফিরছিল। এমতাবস্থায় দুর্বৃত্তরা রাস্তা থেকে তাকে জোর করে ধরে রওশন মেম্বারের ধানের চাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশু ছাত্রীর উপর পাশবিক নির্যাতন চালায় ধর্ষকরা । এক পর্যায়ে শিশুটি পালিয়ে বাড়ি এসে পরিবারের লোকদের বিষয়টি জানালে ওই রাতেই শিশুটির বাবা ঝালমুড়ি বিক্রেতা খোকসা থানায় এসে শোমসপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মাদক সেবি ইমন, তার সহযোগী একই গ্রামের মিলন শেখের ছেলে আব্দুল মজিদ, রফিকুলের ছেলে পিয়াস ও মতি লালের ছেলে রতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। স্কুল ছাত্রী ধর্ষণে জড়িত থাকার অভিযোগে রতন ও আব্দুল মজিদকে আটক করেছে খোকসা থানা পুলিশ।
ইতোমধ্যে শিশুটির বাবার দায়ের করা অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে । মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উক্ত স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটক দুই যুবককে রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে হাজির করা হয়েছে । ধর্ষিত শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা পেশায় শোমসপুর বাজারের নিয়োগকৃত ঝাড়ুদার।
ছাত্রীটির বাবা ও মা অভিযোগ করেন, তাদের দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে আবুল হোসেনের ছেলে মাদক সেবি ইমন, তার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছিল। সোমবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথ থেকে লম্পটরা তাকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে মেয়ে পালিয়ে এসে তাদেরকে বিষয়টি জানায় । ওই রাতেই তারা থানায় অভিযোগ করে। প্রধান আসামীকে যেন আটক করা হয় তারা এমন দাবী করেন। তাছাড়াও সকল দোষীদের বিচারের দাবীও করেন এই দম্পতি।
খোকসা থানার ওসি (তদন্ত) এস.এম কাফরুজ্জামান বলেন, ঘটনার রাতেই ৪ জনের মধ্যে ২ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আটকরা উক্ত ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। তবে প্রধান আসামীকে আটকের জন্য জোর তৎপরতা চলছে। তিনি আরও জানান, অল্প সময়ের মধ্যেই মামলার বাকী আসামীদের আটক করা হবে।।