রফিকুল ইসলাম : কুষ্টিয়ার কুমারখালির উত্তর মূলগ্রামে এক বছর পূর্বে এক নরপিশাচ পিতা কর্তৃক মেয়েকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল। উক্ত নরপিশাচের নাম আব্দুর রাজ্জাক-পিতাঃ মৃত আফসার আলী, তার গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পদ্মনগরে। উক্ত পিতা নামক নরপশু ২০-২২ বছর পূর্বে তার শ্বশুর বাড়ি কুমারখালী উপজেলার উত্তর মূলগ্রামে এসে বসবাস শুরু করে।
উক্ত নরপিশাচ বিভিন্ন সময় তার মেয়ে শম্পা খাতুন(১৯) কে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করত।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৮/০৬/২০১৮ ইং দুপুর আনুমানিক ৩.৪৫ টার সময় শম্পা খাতুন গোসল করে ঘরে এসে কাপড় পরিবর্তন করছিল। এ সময় তার পিতা আব্দুর রাজ্জাক গোপনে ঘরে ঢুকে মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়ে চিৎকার করে এবং তার ছোট ভাই শান্তকে ডাক দেয়। অতঃপর বাড়ির পাশের লোকজন চলে আসলে রাজ্জাক চলে যায়। ঘটনার এক বছর পূর্বে রাত্রীকালীন রাজ্জাক তার মেয়ের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে পায়জামা খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনার পর থেকে রাজ্জাক এক বছর পলাতক ছিল। এলাকার লোকজন আপস মিমাংসা করে দেয়। তারপর থেকে বাড়িতেই থাকা শুরু করে। কিন্তু তারপরেও বাড়িতে এসে ১৮/০৬/২০১৮ ইং তারিখে উপরোক্ত ঘটনা ঘটায়।
এ ঘটনায় কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন/২০০০ এর ৯(৪)(খ)/১০ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-১৮, তারিখ-২৫/০৬/২০১৮ ইং। অতঃপর আসামীকে ধৃত করে ২৬/০৬/২০১৮ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে ফরওয়ার্ডিং করা হয়।
এরপর রাজ্জাক ৭-৮ মাস পর জামিনে বের হয়ে বাদীপক্ষকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি, চাপ প্রয়োগ ও উল্টো মামলা করার হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ করছেন তার স্ত্রী ও মেয়েসহ বাদীপক্ষ।