ঝিনাইদহ প্রতিনিধি :
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা ও স্ত্রীর উপর হামলা ঘটনা ঘটেছে। হামলায় মেয়র প্রার্থীও মা রাশিদা বেগম ও স্ত্রী শাহিনুর বেগমসহ ৫ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা ও স্ত্রীসহ তার ভাই মোস্তাক আহমেদ লাভলুকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার বিকালে পৌরসভাধীন চাঁচড়া গ্রামের এ হামলার ঘটনা ঘটে।
মোয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর অভিযোগ, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম আশরাফের সমর্থকরা এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। রোববার বিকালে কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে প্রার্থী সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লিগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মা রাশিদা বেগম ও স্ত্রী শাহিনুর বেগমের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি দল গণসংযোগে বের হয়। বিকাল তিনটার দিকে তারা পৌরসভাধীন চাঁচড়া গ্রামে পৌঁছালে একদল সশস্ত্র যুবক তাদের উপর হামলা করে। এসময় তারা মেয়র প্রার্থী বিজুর মা ও স্ত্রীর উপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এতে বিজুর মা-স্ত্রীসহ রাহেলা বেগম, মোস্তাক আহমেদ ও রবিউল ইসলামসহ মোট ৫ জন আহত হয়। এসময় স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শম্পা মোদক জানান, সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমানের মা ও স্ত্রী সহ মোস্তাকের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে তাদের অবস্থায় আশঙ্কাজনক নয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি ইউনুচ আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি মোস্তাফিজুর রহমান বিজুর মোবাইল প্রতীকের এক হাজার পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। এঘটনায় কালীগঞ্জ রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম শ্রেণির এই পৌরসভাটির উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার এবার মোট ভোটার ৩৮হাজার ৫শ ৮৮ জন। গেল বছরের ২২ সেপ্টেম্বর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লিগের সভাপতি আলহাজ্ব মকছেদ আলী বিশ্বাস হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুতে পৌর মেয়র পদ শুন্য হয়।