ফারুক হোসেন রাজ, কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসদরের বেত্রবতী আর্দশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি (ইআইআইএন-১১৮৬৫৩) বেত্রবতী নদীর কাছাকাছি সুন্দর মনোরম পরিবেশে নদীর নামেই ইং-১৯৯৫ সালে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠান থেকে ইতোপূর্বে ১৬টি ব্যাচ এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সুনামের সাথে কৃতকার্য হলেও এর পিছনে যাদের অবদান সেই শিক্ষকদের মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪ শিক্ষকের এখনও পর্যন্ত বেতন হয়নি।
প্রতি বছরই বিদ্যালয়ের এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় পাশের হার সন্তোষজনক হয়ে থাকে।
এদিকে, বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবতার জীবন যাপন করছেন বিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষক ও ১ নৈশ প্রহরী।
বিদ্যালয়টির এক মধ্যবয়সী শিক্ষক আক্ষেপ করে বলেন, আমরা বোধ হয় বিনা বেতনে অবসরে যাবো।
তিনি সরকারের কাছে তার আকুতি তুলে ধরে বলেন, যোগ্যতার মাপকাঠিতে কোনো ঘাটতি না থাকা সত্ত্বেও এমপিওভুক্তি না হওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাশেদুল হাসান কামরুল বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান সব ধরনের যোগ্যতার প্রমাণ রেখে চললেও মাধ্যমিকে বেতন হচ্ছে না। নিরন্তর সকল চেষ্টা চালিয়েও শিক্ষকবৃন্দের হাতে বেতন তুলে দিতে পারিনি।
পাবলিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের পাশাপাশি সকল জাতীয় কর্মসূচিসহ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিতে দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে পরপর দু’বার শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়টি উপজেলা শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
এছাড়া তিনি বলেন, বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর বিদ্যালয়ের মাঠটি পানিতে ডুবে থাকে। জরাজীর্ণ পুরাতন টিনশেড ভবনে একটু বৃষ্টি হলেই ভিজে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রায় সকল সময় অসুবিধার মধ্যে দারুন কষ্টে ক্লাস করতে হয়।
এ ব্যাপারে একাধিকবার সংশ্লিষ্টদের অবগত করেও কোনো ফল পাওয়া না গেলে অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি সদয় বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
প্রায় দীর্ঘ দেড় যুগ বেতন বঞ্চিত ভুক্তভোগী শিক্ষকদের চরম দুরবস্থার কথা বিবেচনা করে দ্রুততার ভিত্তিতে এমপিওভুক্তির জন্য আকুল নিবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।