কলারোয়া (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার কলারোয়ায় যুবলীগের আনন্দ মিছিল শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে লাঙ্গলঝাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কবীরুল ইসলামসহ গ্রাম পুলিশ জাকির হোসেন ও নাজমুস সাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে জখম করার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ৪ নং লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় হাজির হয়ে হামলাকারীর মদদদাতা কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদাকে প্রধান আসামী করে আরো ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অঙ্গত ৩০/৪০ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন।মামলাটি (১৪) ২৪/২/১৯ ধারায় রুজু বা রেকর্ড করা হয়।
বাদী চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ও থানায় দায়েরকৃত এজাহারের বিবরণে জানা যায়, রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে গতকাল (২৩ ই ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন দলীয়ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় তিনিসহ তার দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্বপনের বাড়ীতে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর যুবলীগের আনন্দ মিছিল শেষ করে বাড়ী ফেরার পথে পৌর সদরের পশু হাট মোড়ে পাঁকা রাস্তার উপর পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা হামলার মদদদাতা কাজী আসাদুজ্জামান শাহাজাদার নেতৃত্বে নামধারী সন্ত্রাসীরা চেয়ারম্যানসহ তার লোকজনের উপর গতিরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
চেয়ারম্যান এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্রধান আসামী বে-আইনি জনতাবদ্ধভাবে তার উপর সন্ত্রাসীরা হামলা শুরু করে দেয়। এতে চেয়ারম্যান আহত হন। পরে হামলার সময় বাধা দিতে আসলে ১নং থেকে ৬ নং আসামীদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র রামদা দিয়ে লাঙ্গলঝাড়া ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কবীরুল ইসলামের পিঠে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতারীভাবে কোপাতে থাকেন।
পরে ৭ নং হতে ১৩ নং নামধারী আসামীরা লোহাড় রড ও জিআই পাইপ দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গ্রাম চৌকিদার জাকির ও যুবলীগ কর্মী নাজমুস সাকিব সোহাগের উপর হামলা করে তাদের পায়ে উপুর্যপুরী আঘাত করে জখম করেন। হামলার সময় কবীরুল ও সাকিবের ব্যবহৃত দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয় এবং কাছে থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মোটরসাইকেল দু’টির আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পুলিশ ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
জাকির ও সাকিব সাধারণ চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ী চলে যায়। আর গুরুত্বর আহত অবস্থায় কবীরুলকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়া হয়। এ ঘটনায় চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কাজী শাহাজাদাকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অঙ্গত ৩০/৪০ জনকে আসামী করে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করলে সেটা মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
সন্ত্রাসীরা যে দলের হোক না কেন অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে আসামীদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।