অনলাইন ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) হচ্ছে ভোট ডাকাতির মেশিন। ‘বিতর্কিত’ প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সাম্প্রতিক বক্তব্যে এটা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালেট বাক্স ভর্তি করে, ভোট ডাকাতির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। তাই তার মতে ইভিএমই একমাত্র সমাধান নির্বাচনের আগের রাতের ব্যালট বক্স ভর্তি করার সহজ উপায়।
শনিবার সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে ডা. শাহাদাত এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখের বিতর্কিত নির্বাচন কমিশন যে ৬টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছে এর মধ্যে চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের আমি প্রার্থী ছিলাম। কেন্দ্রে ব্যবহৃত ভোটিং মেশিনে ভোটাররা তাদের ভোট ভেরিফাই করতে পারেন নি। কারণ এসব মেশিনে ‘ভোটার ভেরিফাইএবল পেপার অডিট ট্রায়াল’ বা ভিভিপিএটি সিস্টেম নেই। এছাড়া ইভিএমগুলো হ্যাকিং প্রুফ নয়।ফলে সহজেই হ্যাক করে ভোটের ফলাফল পাল্টে দেয়া সম্ভব। দেশের শিক্ষার হার ম্যাক্সিমাম না হওয়ার কারণে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে নির্বাচনী কেন্দ্রে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। তাদের ২৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ ভোট প্রদানের অতিরিক্ত সুযোগ থাকার কারণে সরকারি দল অগ্রিম ৫০ শতাংশ ভোট কারচুপি করার সুযোগ পেয়ে গেছে।বাকি ৫০ শতাংশ ভোট জনগণের জন্য যেটা রাখা হয়েছিল দেখা গেছে, ভোটের এক মাস আগে থেকেই আমার নির্বাচন কেন্দ্রে যেসব নেতাকর্মী কাজ করার কথা ছিল তাদেরকে নিয়মিত পুলিশ গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা শুরু করে।
চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসনের প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার এমনকি আমাকেও নির্বাচনের আগে গ্রেফতার করে ৩ মাস কারান্তরীণ রাখা হলো।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর