ক্রাইম পেট্রোল ডেস্ক>>
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ৬৫ লাখ টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ আ’ইস ও ই’য়াবার চালানসহ মো. হোসেন (৩২) ও আবু হানিফ (৩৫) নামে দুই মা’দক পাচারকারীকে গ্রে’ফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) দিনগত রাতে উপজেলার মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় পুলিশের বসানো চেকপোস্টে একটি ট্রাক তল্লাশি করে মা’দকের চালানসহ তাদেরকে গ্রে’ফতার করা হয়। এসময় মাদকবাহী ট্রাকসহ ১১ হাজার ৮০০ পিস ই’য়াবা ও ৩০ গ্রাম আইস জব্দ করে পুলিশ।
আটক মো. হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পণ্য পরিবহনের আড়ালে মা’দক পাচারের কাজে জড়িত রয়েছেন। আবু হানিফ তার সহযোগী হিসেবে কাজ করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, ‘ট্রাকটিতে আলুর বীজ সরবরাহের আড়ালে মা’দকের এই চালানটি চট্রগ্রাম থেকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের উদ্দেশে পা’চার করা হচ্ছিল।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার রাত সোয়া একটার সময় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমিসহ থানা পুলিশের একটি দল সোনারগাঁয়ের মেঘনা টোলপ্লাজায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করি। এক পর্যায়ে আলুর বীজ বোঝাই একটি ট্রাকের চালকের গতিবিধি সন্দেহ হলে ট্রাকটি থামিয়ে তল্লাশি করি। এক পর্যায়ে আলুর বীজের আড়াল থেকে বিপুল পরিমান আ’ইস ও ই’য়াবা পাওয়া যায়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। পরে ট্রাকের ভেতরে থাকা চালক মো. হোসেন ও আবু হানিফকে আটক করি। যেহেতু বাংলাদেশে মা’দক কারবারিরা আইস তৈরি করতে পারে না, তাই প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মা’দকের চালানটি মিয়ানমার থেকে সমুদ্রপথে অথবা সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়। এই মা’দকের সঙ্গে আর কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আটককৃত ব্যক্তি মা’দকবাহী ট্রাকটিতে একাই ছিলেন। তার সঙ্গে আর কেউ ছিলো না। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পণ্য পরিবহনের আড়ালে মা’দক পাচারের কথা স্বীকার করেছেন। ‘
শনিবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. আমির খসরু সাংবাদিকদের জানান, ‘আটককৃতদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তারা সংঘবদ্ধ মাদক পা’চারকারী চক্রের সদস্য। মা’দকের এই চালানের মূল হোতা আনোয়ার। এই চালানটি তার বুঝে নেওয়ার কথা ছিলো। তাকেসহ মা’দকের অর্থের যো’গানদাতাকে আ’টকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া এই আ’ইস ও ই’য়াবা বাংলাদেশের কোনো দুর্গম অঞ্চলে তৈরি করা হয়েছে নাকি অন্য কোনো দেশ থেকে আনা হয়েছে সে বিষয়টিও আমরা খতিয়ে দেখছি।